রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে ভীষণ খরুচে ছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের বোলাররা। মহেশ থিকশানা ও স্যান্টনার বাদে সবাই রান দিয়েছেন ১০-এর বেশি করে। এরপর দুই কিপটে বোলার মুস্তাফিজুর রহমান ও মাথিশা পাথিরানার কথা না বলে পারলেন না চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক রুতুরাজ গাইকওয়াদ।
বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে চেন্নাই শেষ পর্যন্ত হেরেছে ২৭ রানে। ১৮ রানের কম ব্যবধানে হারলেও প্লেঅফে যাওয়ার সুযোগ ছিল তাদের সামনে, সেই সুযোগও লুফে নিতে পারেনি চেন্নাই। তবে মুস্তাফিজ ও পাথিরানা থাকলে ফল অন্যরকম হতে পারত বলে ইঙ্গিত গাইওয়াকদের। এ দুজনের অভাব হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
পাথিরানা ৬ ম্যাচ খেললেও শুরু থেকেই চোটের সঙ্গে লড়াই করেছেন। মুস্তাফিজ খেলেছেন ৯ ম্যাচ। এরপর জিম্বাবুয়ে সিরিজের কারণে দেশে ফিরে আসতে হয় তাকে। ওভারে ১০-এর কম করে রান দেয়া এ দুই বোলার দলের সঙ্গে থাকলে চেন্নাইয়ের গল্পটা অন্যভাবে যে লেখা হতে পারত, তা কে অস্বীকার করতে পারবে!
প্লেঅফ দৌড়ে বাদ পড়ার পর ম্যাচপ্রেজেন্টেশনে গাইকওয়াদ বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই চ্যালেঞ্জের মুখে ছিলাম। ফিজের ইনজুরি, এরপর পাথিরানার। পাথিরানা কিছু ম্যাচ মিস করেছে। যখন ইনজুরি থাকবে, তখন আপনি চাইবেন প্রত্যেক ম্যাচে দলে ভারসাম্য আনতে। এ মৌসুমটার সারমর্ম হলো, একাদশ নিয়ে আমাদের আরও কাজ করতে হবে।’
১৪ ম্যাচের মধ্যে অর্ধেকগুলোতে জয় পেয়েছে চেন্নাই। তা নিয়েই খুশি গাইকওয়াদ। তিনি বলেন, ‘সাতটা জয় নিয়ে খুশি, যেহেতু আমরা আমাদের সামর্থ্যের সবটা দিতে পারিনি। গত বছরের নকআউট ম্যাচে শেষ দুই বলে আমরা ১০ নিয়েছিলাম। এবারও পরিস্থিতি তেমন ছিল। কিন্তু পারিনি।’
এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৮ রান করে বেঙ্গালুরু। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯১ রানে থামে চেন্নাই। এ জয়ের ফলে ১৪ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট বেঙ্গালুরুর। চেন্নাইয়েরও তাই, তবে তারা বেঙ্গালুরুর চেয়ে রানরেটে পিছিয়ে।