অধিবেশন চলাকালে পার্লামেন্টকক্ষে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তাইওয়ানের আইনপ্রণেতারা। সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই বিরোধীদল ও সরকারদলীয় এমপিরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। তারা একে অপরকে ধাক্কা, ধ্বস্তাধ্বস্তি এবং কিল ঘুষি মারা শুরু করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার (১৮ মে) এ ঘটনা ঘটে।
নতুন সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে পার্লামেন্টে ভোট শুরুর আগে পার্লামেন্টকক্ষের বাইরে কিছু আইনপ্রণেতা একে অপরের ওপর চিৎকার ও ধাক্কাধাক্কি শুরু করে দেন। একটি ভিডিও ফুটেজে বিশৃঙ্খলার দৃশ্য ধরা পড়। তাদে দেখা যায়, আইন প্রণেতারা স্পিকারের আসনের চারপাশে উঠে পড়েন, কেউ কেউ টেবিলের ওপর লাফিয়ে পড়েন এবং সহকর্মীদের মেঝেতে ফেলে টেনে নিয়ে যান। যদিও শিগগিরিই পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায় কিন্তু বিকেলে আবারও হাতাহাতি শুরু হয়েছিল।
গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন লাই চিং। আগামী সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে তার দায়িত্ব গ্রহণ করার কথা রয়েছে। কিন্তু লাইয়ের দল ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে।
প্রধান বিরোধী দল কুওমিনতাং (কেএমটি) ডিপিপি-এর চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে।
তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় তারা সরকার গঠন করতে পারবে না। তাই তারা ছোট তাইওয়ান পিপলস পার্টি (টিপিপি)-এর সঙ্গে কাজ করছে। সরকারের ওপর পার্লামেন্টের প্রভাব বাড়াতে কয়েকটি সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে বিরোধিরা। এর মধ্যে পার্লামেন্টে কোনো কর্মকর্তা মিথ্যা বিবৃতি দিয়েছে মনে হলে, তাকে অপরাধী হিসাবে গণ্য করার একটি বিতর্কিত প্রস্তাবও রয়েছে। এ ছাড়া সরকারের কার্যক্রম দেখভালের জন্য আইনপ্রণেতাদের আরো ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
ডিপিপি বলেছে, কেএমটি এবং টিপিপি প্রথাগত শলা-পরামর্শ না করেই প্রস্তাবের মাধ্যমে তাদের দাবি আদায়েরে চেষ্টা করছে। যা ‘ক্ষমতার অসাংবিধানিক অপব্যবহার’ বলে অভিহিত করেছে ডিপিপি। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর চিয়াইয়ের প্রতিনিধিত্বকারী ডিপিপি আইনপ্রণেতা ওয়াং মেই-হুই রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা কেন বিরোধিতা করছি? আমরা এ নিয়ে আলোচনা করতে চাই, দেশে শুধুমাত্র একটি কণ্ঠস্বর থাকা উচিত নয়।’
প্রধান বিরোধীদল কেএমটি এবং তাদের মিত্রদল তাইওয়ান পিপলস পার্টির (টিপিপি) দেওয়া এ প্রস্তাব নিয়েই প্রধান দুই দল ডিপিপি এবং কেএমটি-এর মধ্যে তীব্র মতবিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়েই আইনপ্রণেতাদের তুমুল মারামারির ঘটনা ঘটে।
এ জাতীয় আরো খবর..