সারা দেশে কোরবানিযোগ্য এক কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারা দেশে তিন হাজার পশুর হাট বসবে। এর মধ্যে ঢাকা সিটি করাপোরেশনে বসবে ২১টি।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম মোস্তফা কামাল এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকসহ অন্যান্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের তুলনায় এবার পশুর সংখ্যা বেড়েছে। চার লাখ ৪৪ হাজার ৩৪টি বেশি এ বছর। এ বছর বিভাগীয় পর্যায়ের তথ্যানুযায়ী, কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর সর্বোচ্চ সম্ভাব্য চাহিদা এক কোটি ৭ লাখ ২ হাজার ৩৯৪টি।
কোরবানি যোগ্য পশুর মধ্যে ৫২ লাখ ৬৮৪টি গরু রয়েছে। এ ছাড়া মহিষ ১ লাখ ৬০ হাজার ৩২০টি, ছাগল ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ৫৮টি, ভেড়া ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৭৪৩টি। ১৮৫০টি পশু অন্য প্রজাতিসমূহের।
বাইরে থেকে কোরবানি উপলক্ষে কোনো পশু না আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সভায়।
মন্ত্রী বলেন, চোরাই পথে যেন না আসে, সে ব্যাপারেও আমরা সতর্ক এবং সজাগ থাকব।
কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়ে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, রোগাক্রান্ত পশু হাটে বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হবে। হাটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।
লাভের আশায় কোরবানির অনুপযুক্ত পশু বা রোগাক্রান্ত পশু বিক্রি না করার জন্য খামারি এবং ব্যবসায়ীকে অনুরোধ করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি নির্ধারিত কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম থাকবে। কোরবানির পশু নিরাপদ ও কোরবানি উপযোগী কি না বা তাদের শরীরে দূষিত পদার্থ প্রবেশ করানো হয়েছে কি না তারা সে বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে।
এ জাতীয় আরো খবর..