পাটপণ্যে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক তুলে নিতে ভারতের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে নিজ দফতরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে এ অনুরোধ করেন মন্ত্রী।
রেশম শিল্পে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে নানক বলেন, বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের সেন্ট্রাল সিল্ক বোর্ড রেশম পণ্যের সামগ্রিক উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করতে পারে।
এ সময়ে সিল্ক উৎপাদনে ভারত বিশ্বের শীর্ষে রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এ জন্যই দেশে মানসম্মত সিল্ক উৎপাদনে আমাদের কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছি ভারতীয় হাইকমিশনারকে। বস্ত্র খাতে দুই দেশ একসাথে কাজ করছি, এটিকে আরও জোরদার করতে একমত হয়েছেন হাইকমিশনার।’
‘আমাদের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পে আরও বেশি বিনিয়োগ করার জন্য অনুরোধ করেছি ভারতকে। কারণ আমাদের অনেকগুলো জুটমিল বন্ধ হয়ে আছে। সেগুলোকে আবার কর্মযজ্ঞে ফিরিয়ে আনতে চাই। এ বিষয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা করেছি,’ জানান নানক।
পাটের বীজ উৎপাদন বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, ‘পাট অধিদফতরের মাধ্যমে সারা দেশে একটি প্রজেক্ট চালু রয়েছে পাটবীজ উৎপাদনে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দেয়ার জন্য, যাতে কৃষক পাটবীজ আরও বেশি করে উৎপাদন করে। এর মাধ্যমে আমরা পাটবীজের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে পারবো।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, বস্ত্র অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. নুরুজ্জামান, জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সিলর পবন বাধে, প্রথম সচিব প্রতীক নেগি প্রমুখ।
পাটের এন্টি-ডাম্পিং নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে পাটমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে এখন নির্বাচন চলছে। নির্বাচনের পরে দুদেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা হবে। আমরা আশা করছি, ভালো ফল আসবে।’
‘আমরা ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ পাটবীজ ভারত থেকে আমদানি করি। এ জন্য আমরা বলেছি, আমাদের মানসম্পন্ন পাটবীজ দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পাটবীজ দিতে হবে। কোনোক্রমেই যাতে বিলম্বিত না হয়, সে বিষয়ে নজর রাখার জন্য ভারতকে অনুরোধ করেছি। এ বিষয়ে তাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চেয়েছি,’ বলেন নানক।
এ জাতীয় আরো খবর..