×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৫-১৪
  • ৬০ বার পঠিত
পুঁজিবাজারকে ক্রান্তিকাল পেরিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। সেজন্য বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একত্রে একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু।

সোমবার (১৩ মে) ডিএসই কার্যালয়ে সিইও ফোরামের ৩০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে এসব জানান তিনি।
 
ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, ‘পুঁজিবাজারকে ক্রান্তিকাল পেরিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেজন্য বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মিলে একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। তার অংশ হিসেবেই বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষিত করে যে কোন পলিসি তৈরি করতে হবে। 
 
‘বহুজাতিক কোম্পানি, ভালো ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি, তৈরি পোশাক খাতের গ্রীন ফ্যাক্টরি কোম্পানিগুলো ও ইন্সুরেন্সসহ অনেক ভালো ভালো কোম্পানিকে বাজারে আনার সুযোগ রয়েছে। এজন্য একটি ‘রিসার্চ সেল’ তৈরি করে কাজ করতে হবে।’
 
তিনি আরও বলেন, তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে অবশ্যই ট্যাক্সের একটা উল্লেখযোগ্য পার্থক্য থাকতে হবে। এ বিষয়ে এরই মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে এনবিআর এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথে যাওয়া হবে। পাশাপাশি পলিসি সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে রেগুলেটরের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে। এছাড়া দ্বৈতকর একজন বিনিয়োগকারীকে পুঁজিবাজারে আসতে নিরুৎসাহিত করে। 
  
ড. হাসান বাবু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুঁজিবাজারের মাধ্যমে অর্থনীতিকে গতিশীল করতে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তালিকাভুক্তির জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন৷ প্রধানমন্ত্রীর এ পদক্ষেপ স্টক এক্সচেঞ্জের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য ছিল৷ পর্যায়ক্রমে মার্কেট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন ও ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশনসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে, যাতে সম্ভাবনাময় পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে৷ 
 
সবার উদ্দেশ্য হলো পুঁজিবাজারকে একটি ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। এজন্য সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। উন্নত বিশ্বে বড় বড় প্রজেক্ট পুঁজিবাজারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়৷ কিন্তু বাংলাদেশে তা ব্যাংকের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। এটা অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
 
প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দেন ফোরামের প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা সাত্বিক আহমেদ শাহ ও প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা খায়রুল বাসার আবু তাহের মোহাম্মদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা৷
 
সিইও ফোরামের প্রেসিডেন্টসহ প্রতিনিধিরা বলেন, অনেক আগে থেকে তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে করের পার্থক্য করার দাবি করা হয়েছে। কিন্তু এর কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি। যদি করের ব্যবধান বাড়ানো না হয়, তাহলে কাঙ্ক্ষিত কোম্পানিগুলোকে বাজারে আনা যাবে না। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বাজারের লভ্যাংশের ওপর আকৃষ্ট হচ্ছেন না। এর অন্যতম কারণ হিসেবে দ্বৈত করকে চিহ্নিত করেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat