এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশের ঘরে নেমেছে। মার্চে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। তবে এপ্রিলের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ফের দুই অঙ্ক ছাড়িয়ে ১০ দশমিক ২২ শতাংশের ঘরে ঠেকেছে। এর আগে গত অক্টোবরে সর্বোচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
তবে বিআইডিএস বলছে, বর্তমানে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাসিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষের কষ্ট বেশি হয়েছে গত মাসে। গ্রামে গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯২, যেখানে শহরাঞ্চলের গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪৬। গ্রাম ও শহর দুই অঞ্চলেই খাদ্যের মূল্যস্ফীতি আবার দুই অঙ্ক ছাড়িয়েছে।
এপ্রিল মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে; গত মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। মার্চ মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
অর্থনীতি বিশ্লেষকদের মতে, মূল্যস্ফীতি এক ধরনের কর, যা ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবার চাপ বাড়ায়। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়ে গেলে গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বাড়ে।
এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। তার সঙ্গে চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ।
এ জাতীয় আরো খবর..