×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৫-০৮
  • ৮৩ বার পঠিত
চলমান উপজেলা নির্বাচন জনগণ বর্জন করছে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। জনগণের এ ভোট বর্জনের পেছনে ১১টি কারণ দেখিয়েছেন তিনি।
বুধবার (৮ মে) রাজধানীর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচন ইস্যুতে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এই অভিযোগ করেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অভিযোগ করেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর এখন আবার আওয়ামী সাদা পোশাকধারী গেস্টাপো বাহিনী নতুনরূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। অধিকার বঞ্চিত জনগণের ওপর দমনপীড়ন, অত্যাচার চলছে রাষ্ট্রের মদদে।

তিনি জানান, ১১ কারণে উপজেলা নির্বাচন বর্জন করছে জনগণ। কারণগুলো হলো-
  
১. মানবজাতি স্বৈরাচারের দুঃশাসনে বেশি দিন লুকিয়ে থাকতে ও নীরব থাকতে পারে না। অধিকার আদায়ে বুক বেঁধে সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যায়।
২. জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একনায়কতন্ত্রের অপরাধগুলো ধিক্কার জানায়।
৩. দমনমূলক শক্তি ভোটারদের নিগ্রহ করছে, উগ্র রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে।
৪. নিকৃষ্ট লুণ্ঠনের মাধ্যমে উপজেলা প্রতিষ্ঠানকে করা হয়েছে লুটেরা ও দস্যু দলের আখড়া।
৫. এমনও দেখা যাচ্ছে ভোটারবিহীন নির্বাচনে দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে একশো বিঘার বেশি জমির মালিক হয়েছে। অথচ আইন অনুযায়ী ৬০ বিঘার বেশি জমি থাকতে পারে না।
৬. অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি যতই উচ্চারিত হয়, ততই সরকারের কাছে জেল-জুলুমের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পায়।
৭. যারা দ্বিতীয়বার প্রার্থী হয়েছেন তাদের আগের হলফনামায় ঘোষিত আয়ের চেয়ে কয়েকজনের আয় বেড়েছে ৩ হাজার শতাংশের বেশি। কারো আয় বেড়েছে ১ হাজার শতাংশের বেশি। গাইবান্ধায় একজন প্রার্থীর আয় বেড়েছে ৪ হাজার শতাংশ।
৮. স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের সম্পদও বেড়েছে কোথাও কোথাও ১২ হাজার থেকে ১৮ হাজার শতাংশ।
৯. যে দেশে গণতন্ত্রের ছিটেফোটাও নেই সেই দেশে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।
১০. প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদে ভোটারবিহীন নির্বাচনে কেউ চেয়ারম্যান ঘোষিত হলে হাতিশালে হাতি ও ঘোড়াশালে ঘোড়ার কোনো অভাব হয় না।
১১. আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও নেতাদের স্বজন ছাড়া অন্য কেউ নির্বাচিত হতে পারে না। ভোটারদের ভোটের প্রয়োজন হয় না। ফলাফল নির্ধারিত থাকে, সেটিই ঘোষিত হয়।
  
এসব কারণ উল্লেখ করে রিজভী দাবি করেন, আওয়ামী প্রতারণার ফাঁদে পা না দিয়ে দেশের ভোটাররা উপজেলা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।
 
এ সময় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, আজ ভোরে পঞ্চগড়ে তেঁতুলিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক আব্দুল জলিল ও ইয়াসিন আলী নিহত হয়েছেন। বিজিবি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ভারত যেন এখন সরাসরি রক্তাক্ত আগ্রাসন চালাচ্ছে বাংলাদেশে। আর এটি সম্ভব হয়েছে ডামি সরকারের আত্মা বিক্রির জন্য।
 
‘যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে দুজন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটির বিচার চেয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। অথচ ভারতের এই রক্তাক্ত নির্মমতার বিষয়ে তিনি নিশ্চুপ। তাদের সব কসুর তিনি মাফ করে দেন। আওয়ামী সরকারের একতরফা ভারততোষণ নীতির কারণেই বিএসএফ বাংলাদেশিদের মানুষ বলে গণ্য করে না’, যোগ করেন রিজভী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat