×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৫-০৬
  • ৮০ বার পঠিত
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের হস্তক্ষেপ বড় আলোচনার বিষয় হলেও এবার স্বজনদের মনোনয়ন নিয়ে চলছে বিতর্ক। প্রথম ধাপে প্রথম পর্বে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন ১৩ জন। প্রার্থী হওয়ায় এগিয়ে ভাইয়েরা; চাচাতো ভাই, খালাতো ভাই, জামাতা, ভাইয়ের ছেলে আছেন তালিকায়। আজ সোমবার ধানমন্ডির টিআইবির অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
 
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, উপজেলা নির্বাচন দলীয় ভাবে হওয়ার বিধান থাকলেও তা হচ্ছে না। প্রার্থীদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে। সংসদ নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনেও ব্যাবসায়ী প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। রাজনীতির সাথে ব্যবসায়ীদের মিলেমিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে।


যাদের অস্বাভাবিক হারে সম্পদ বেড়েছে, তা খতিয়ে দেখা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রেসডিয়াম সদস্য ও সাংসদ শাহাজান খানের পুত্র ও চাচাতো ভাই প্রার্থী হয়েছেন। প্রার্থী আছেন সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের পুত্র ও ছোট ভাই। সংসদ সদস্য একারামুল করিম চৌধুরী পুত্রও প্রার্থী আছেন।

ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর ছোট ভাই ও ভায়ের ছেলে প্রার্থী আছেন। আরো প্রার্থী আছেন সংসদ সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাকের খালাতো ভাই, শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই, মাজহারুল ইসলামের চাচা ও চাচাতো ভাই, মাহবুব-উল আলম হানিফের চাচাতো ভাই এবং কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার জামাতা।
টিআইবি বলছে, প্রথম ধাপের ১৫২টি উপজেলার মধ্যে ১৪৪টির প্রার্থীদের হলফনামা নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করেছে, বাকি আটটি করেনি। ১৫২টি উপজেলার তিনটি নির্বাচনের প্রায় ৪ হাজার ৮০০টি হলফনামায় দেওয়া আট ধরনের তথ্যের বহুমাত্রিক ও তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন দলীয় হলেও নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দিতামূলক করতে এবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলগতভাবে কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি।

বিএনপি এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও তা অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করেছে দলটি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করা ২২ জামায়াত নেতা পরবর্তী সময়ে দলের সিদ্ধান্তে সরে দাঁড়ান। উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীর অধিকাংশই ‘আওয়ামী লীগ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী’। যদিও বেশিরভাগ স্বতন্ত্র প্রার্থীই দলের স্থানীয় নেতৃত্বের সমর্থনপুষ্ট।
আরো জানানো হয়, উপজেলা নির্বাচন দলীয় প্রতীকে রাজনৈতিক লড়াই হবার কথা থাকলেও সেখানে দলগত অবস্থান প্রায় শূণ্য। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী- এমপিদের হস্তক্ষেপ নিয়ে শঙ্কার মাঝে এবার বড় আলোচনার বিষয় হচ্ছে স্বজনদের মনোনয়ন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নারীর অংশ গ্রহণ জাতীয় নির্বাচনের তুলনায়ও কম। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে নারী প্রার্থী আছেন মাত্র ২৫ জন। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জাতীয় নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ব্যবসায়ী প্রার্থীদের দাপট বাড়ছে। ব্যবসায়ী প্রার্থীদের সংখ্যা চতুর্থ নির্বাচনের তুলনায় ৮ শতাংশ বেড়ে দাড়িয়েছে ৫৬ শতাংশ। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৬৯.৮৬ শতাংশই ব্যবসায়ী, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের প্রায় ৬৬.৫৯ শতাংশ, নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ২৪.৩৭% শতাংশ ব্যবসাকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন। ৯. নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৫২.২২ শতাংশই নিজেকে গৃহিণী গৃহস্থালী কাজকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন। 

গৃহস্থালীকে পেশা হিসেবে দেখানো প্রার্থীদের সাড়ে ১৯ শতাংশের আয় আসে ব্যবসা থেকে, কৃষি থেকে আয় আসে উৎস দেখাননি। ৫ শতাংশের, আয় নেই ১২ শতাংশের, ৩৯ শতাংশ নিজেদের আয়ের কোনো স্বীকৃত সার্বিকভাবে প্রার্থীদের ৪০ শতাংশই আয় দেখিয়েছেন সাড়ে তিন লাখ টাকার নিচে। অর্থাৎ করযোগ্য আয় নেই তাদের। সাড়ে ১৬ লাখ টাকার বেশি আয় দেখিয়েছেন মাত্র ১০ শতাংশ প্রার্থী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat