×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৫-০৬
  • ৯৫ বার পঠিত
তিন বিদেশি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্বে বন্ধ হয়ে গেছে ঢাকা এলিভেডেট এক্সপ্রেস ওয়ের নির্মাণকাজ। বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। রায় না পাওয়া পর্যন্ত বাকি কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। অবশ্য এর আগে থেকেই ঋণ দেয়া স্থগিত করে দেয় দুটি ব্যাংক। এ মুহূর্তে কী আর করা! রায়ের অপেক্ষায় আছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
কদিন আগেও ছিল ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের ব্যস্ততা। এখন কাজ বন্ধ; শ্রমিকশূন্য পুরো এলাকা। কারওয়ান বাজার, মগবাজার ও মালিবাগ হয়ে প্রায় কমলাপুর যাওয়া একেকটা পিলার, গার্ডার, টিগার্ডার পড়ে আছে, নেই কোনো কর্মযজ্ঞ। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন হাতিরঝিল আর পান্থপথ অংশেই কেবল কিছু কাজ চলমান।

কথা ছিল চলতি বছরই শেষ হবে অগ্রাধিকারমূলক এ উন্নয়ন প্রকল্প -- ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে। এ সময় কাজ চলার কথা দ্রুত গতিতে। কিন্তু কেন প্রকল্পের কাজ বন্ধ হলো -- তা নিয়েই প্রশ্ন।

একটু পেছনে যাওয়া যাক। ২০১১ সালে দেশের প্রথম এলিভেটেড এসপ্রেসওয়ের কাজ পায় থাইল্যান্ডের কোম্পানি ইতাল থাই। অর্থ জোগাড় করতে না পরায় আট বছরেও শুরু হয়নি কাজ। ২০১৯ সালে চাইনিজ দুই কোম্পানি শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ও সিনোহাইড্রোকে যুক্ত করে শুরু হয় কাজ। এ কাজে তিন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার যথাক্রমে ৫১, ৩৪ ও ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ হলো এক্সপ্রেসওয়ের নির্বাহী প্রতিষ্ঠান।
  
প্রকল্পের চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণ ব্যয়ের ৭৩ শতাংশের যোগান দেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। আর ২৭ শতাংশ দেবে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু ঠিকাদারি তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চলা দ্বন্দ্ব গড়ায় আদালত অবধি। ফলে বন্ধ হয়ে যায় নির্মাণকাজ। সেই সঙ্গে ঋণ সহায়তা বন্ধ করে দেয় দুটি ব্যাংক। আর এতে করে শঙ্কায় এখন পুরো প্রকল্প।
 
সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন সময় সংবাদকে বলেন, 
তাদের মামলা এবং আইনগত জটিলতার জন্য কাজের গতি কিছুটা কমে গেছে। তবে উভয় পক্ষকে আমরা অনুরোধ করেছি, তারা যেন কোনোভাবেই কাজটাকে বন্ধ না করে। কারণ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি আমরা তাড়াতাড়ি শেষ করতে চাই। ফলে কোনো কোনো জায়গায় তারা কাজ করছে।
 
চুক্তির শর্তমতে কোনো প্রতিষ্ঠান অর্থ যোগানে ব্যর্থ হলে বাকি প্রতিষ্ঠান তার শেয়ার নিয়ে নিতে পারবে। তাই সেই দিকেই আগ্রহ চীনা প্রতিষ্ঠানের। অন্যদিকে অর্থ যোগান না দিয়েই নিজেদের শেয়ার ধরে রাখতে চায় ইতাল থাই।
  
এ বিষয়ে সেতু বিভাগের সচিব বলেন, কিছু আইনগত বিষয় নিয়ে মামলা রয়েছে। সেই মামলার ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat