×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৫-০৪
  • ২৮ বার পঠিত
গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশনের ছোট দেওড়া এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা তেলবাহী ওয়াগন ও যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সংঘর্ষের ২১ ঘণ্টা পার হলেও শেষ হয়নি উদ্ধার অভিযান। এতে ডাবল লাইনের ঢাকা জয়দেবপুর রেল রুটের একটি লাইন দিয়ে চলাচল করছে ট্রেন।

এর আগে শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১১টার দিকে স্টেশনের দক্ষিণে আউটার সিগন্যালে সংঘর্ষে এ দুটি ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়। আহত হন লোকোমাস্টারসহ চারজন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ছোট দেওড়া এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা তেলবাহী ওয়াগন ও যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনার পর জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম রুটের ট্রেন চলাচল ২ ঘণ্টা বন্ধ হয়ে যায়। বিকেলে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। এ ছাড়া টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের পেছনের অংশের অক্ষত বগিগুলো বিকল্প ইঞ্জিনের মাধ্যমে দুর্ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।

রাতভর উদ্ধার অভিযানে তেলবাহী ওয়াগনের লাইনচ্যুত ৫টি বগির মধ্যে তিনটি বগি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া কমিউটার ট্রেনের ক্ষতিগ্রস্ত ৪টি বগি রেললাইনের পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। দুটি ইঞ্জিন ও ওয়াগনের দুটি বগি উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

এদিকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. হাশেম, পয়েন্টম্যান সাদ্দাম হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তারা পালাতক রয়েছেন।

জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী মিয়া বলেন, শুক্রবার (৩ মে) ১১টার দিকে টাঙ্গাইল কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। রেললাইনের পয়েন্টের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী কম ছিল। এ কারণে হতাহত মানুষের সংখ্যা কম।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে আপঘুন্টি স্টেশন মাস্টার হাশেম ও পয়েন্টসম্যান সাদ্দাম হোসেনসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও গাজীপুর জেলা প্রশাসন ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

দায়িত্বরত রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের যন্ত্রাংশ ও তেল যেন খোয়া যেতে না পারে তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। গাজীপুর মহানগর পুলিশের টহল টিম, র‌্যাব সদস্য, ২ প্লাটুন বিজিবি, আনসার সদস্য এবং রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। তবে সন্ধ্যার দিকে বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে অন্যদের রেখে চলে যান। ঘটনাস্থলে অগ্নি সতর্কতায় কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat