×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৮-১৯
  • ৬৫ বার পঠিত
সারাদেশের ২৪১টি চা-বাগানের শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে অবিলম্বে মজুরি বৃদ্ধিসহ ন্যায়সঙ্গত দাবি মেনে নেওয়ার জন্য মালিক-সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসল নেতৃবৃন্দ।

তারা বলেন, চা বাগানগুলোতে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির তোয়াক্কা করা হয় না। শিক্ষা-চিকিৎসাসহ অন্যান্য সুবিধার অপ্রতুলতার দরুন শত শত বছর ধরে এই শ্রমিকেরা তাদের পরিবার নিয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছে। তার থেকে মুক্তির লক্ষ্যেই এই আন্দোলন।

দাবি না মানলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
আজ শুক্রবার (১৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনরত চা শ্রমিকদের সংহতি জানিয়ে আয়োজিত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এ সব কথা বলেন। বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. হারুণ অর রশীদ, নয় বাম সংগঠনের সমন্বয়ক ও নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, বাসদ ঢাকা মহানগরের নেতা আহসান হাবিব বুলবুল ও খালেকুজ্জামান লিপন। সভা পরিচালনা করেন বাসদ ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব জুলফিকার আলী।

সমাবেশে বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, 'চা বাগানের শ্রমিকরা শ্রীমঙ্গল ও ঢাকায় তিনদফা সরকার ও মালিক পক্ষের সাথে বৈঠক করেছে। কিন্তু মালিক পক্ষ ও সরকার নানা তালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করছে। শ্রমিকরা দাবি করেছে মজুরি ৩০০ টাকা করতে হবে। বাগানের শ্রমিকদের ছুটি বৈষম্য দূর করতে হবে। রেশনের মান ও পরিমাণ বাড়াতে হবে। সন্তানদের জন্য প্রত্যেক বাগানে প্রাথমিক স্কুল ও প্রত্যেক ভ্যালিতে উচ্চ বিদ্যালয় করতে হবে। প্রতিটি বাগানে মানসম্মত চিকিৎসাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। '

বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, 'আন্দোলন চলাকালীন সময়ে শ্রমিকদের জন্য রেশন বন্ধ করা যাবে না। অন্যথায় অন্যান্য বাম প্রগতিশীল শক্তিকে সাথে নিয়ে বাসদের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারী চা শ্রমিকদের জন্য লঙ্গরখানা খুলে খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। এরই মধ্যে খবর এসেছে ফিনলে চা বাগানে শ্রমিকদের নামে চারটি মামলা করা হয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, রেশন বন্ধ করে, মামলা দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। '

তিনি অবিলম্বে এ সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার দাবি করেন।

সমাবেশে বক্তারা দাবি করেন, চা বাগানগুলো একর প্রতি নামমাত্র মূল্যে মাত্র পাঁচ টাকায় লীজ নেওয়া হয়। তারপরেও নাকি মালিকের মুনাফা হয় না? মালিকরা শ্রমিকদের দাবি না মানলে সরকার বিনা ক্ষতিপূরণে বাগানগুলো রাষ্ট্রায়ত্ত করে নিক এবং সরকারিভাবে সেগুলা পরিচালনা করা হোক। নেতৃবৃন্দ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য চা শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানান এবং সকল বাম-প্রগতিশীল দেশপ্রেমিক জনগণকে চা-শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat