জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর ডিমের ডজন হয়েছিল ১৬০ টাকা। দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনো এত বেশি দামে ডিম বিক্রি হয়নি। একই সঙ্গে ব্রয়লার মুরগির কেজি হয় ২০০ টাকা। তবে কয়েকদিনের ব্যবধানে কমতে শুরু করেছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম।
আজ শুক্রবার বাজারে ডিমের ডজন ১৩০ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। সেই হিসেবে ডজনে দাম কমেছে ৩০ টাকা। একই সঙ্গে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ২০ টাকা কমে হয়েছে ১৮০ টাকা।
এ ছাড়া বাজারে সবজির দাম আগের মতোই। বাজারে সবজির মধ্যে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে শিম। ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের কেজিও ২০০ টাকা। টেমেটো গাজর যথাক্রমে ১৩০ এবং ১৬০ টাকা। তবে সবচেয়ে কম দামে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁপে।
অন্যদিকে বাজারে বাজারের সবচেয়ে কম দামি মাছ পাঙাস, তেলাপিয়ার কেজিও এখন ২০০ টাকা। বাজারে মাছ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ। বাজারে রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৬০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা।
ক্রেতাদের চাহিদা কমে যাওয়ায় বিক্রেতারাও ডিম কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। আগে যেখানে একজন গড়ে প্রতিদিন ৫০০টি ডিম এলাকাভিত্তিক পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিতেন, সেখানে এখন ২৫০-৩০০টি করে নিচ্ছেন।
রামপুরা বাজারের ডিম ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, দুইদিনের ব্যবধানে ডিমের দাম ৩০ টাকা কমেছে ডজনে। তবে আরও কমা উচিত।
দাম কমলেও ব্রয়ালর মুরগি যে দামে বিক্রি হচ্ছে তাকে স্বাভাবিক বলছেন না ক্রেতারা। কারওয়ান বাজারের রিকশাচালক মুজিবর জানান, ডিমের হালিতে পাঁচ টাকা কমলেও এখনো তাদের সাধ্যের বাইরে।
এ জাতীয় আরো খবর..