নগরের বায়েজিদ বোস্তামী, আকবরশাহ, খুলশীসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার পাহাড় থেকে বসতি ও আবাসিক স্থাপনা ৩০ দিনের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ১৫ ধারায় ১৫ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া পাহাড় কাটা বন্ধে অবিলম্বে একটি ‘সার্বক্ষণিক মনিটরিং কমিটি’ গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গঠনের পর এ কমিটিকে তিন মাস পর পর প্রতিবেদন দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
এসংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর রবিবার রুলসহ এ আদেশ দেন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
গত ২৬ জুলাই ‘চট্টগ্রামে পাহাড়ে লোভের কোপ/পাহাড় কেটে প্লট, উঠছে দালান’ শিরোনামে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ১ আগস্ট হাইকোর্টে এ রিট আবেদনটি করা হয়। পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রিপন বাড়ৈ ও সঞ্জয় মণ্ডল।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, “পাহাড়ে যেকোনো স্থাপনাই অবৈধ। সেখানে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার পাহাড় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে। আবাসিক স্থাপনাসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী স্থানীয় প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তরের নাকের ডগায় এসব হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ জন্য রিট আবেদন করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়েছিলাম। আদালত রুলসহ আদেশ দিয়েছেন।
নগরের বায়েজিদ বোস্তামী, আকবরশাহ, খুলশীসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অবাধে পাহাড় কাটা ও আবাসিক স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। পরিবেশসচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনার, বায়েজিদ বোস্তামী, আকবরশাহ, খুলশীসহ বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..