বাস মালিকরা সরকারের সঙ্গে মিলেমিশে বাস ভাড়া বাড়াতে ব্যস্ত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রেতা-ভোক্তা আইন লংঘন করে যাত্রী প্রতিনিধি ছাড়া বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) ও পরিবহন মালিক সমিতির ঘোষিত বর্ধিত বাস ভাড়া প্রত্যাহার করে নতুন বাস ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে।
আজ রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।
তিনি বলেন, গেল নভেম্বরে জ্বালানি তেলের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়ানোর সময় বাস ভাড়া ৩৫ শতাংশ বাড়ানো হয়।
মাত্র ৯ মাসের মাথায় আবারো জ্বালানি তেলের বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সঠিক ব্যয় বিশ্লেষণ না করে এক লাফে বাস ভাড়া আবারো ২২ শতাংশ হারে বাড়ানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার বাস মালিকদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ করলেও কোনো বাসে সরকার নির্ধারিত ভাড়া কার্যকর নেই। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার বেশ কয়েকগুণ বর্ধিত ভাড়া বাসে বাসে আদায় হলেও সরকার এসবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। ঢাকা মহানগরীর কথিত সিটিং সার্ভিসে স্বল্প দুরুত্বে যাতায়াত করলেও সর্বশেষ গন্তব্য পর্যন্ত ভাড়া পরিশোধ করতে হয়। অনতিবিলম্বে বর্ধিত বাস ভাড়া প্রত্যাহার করে সঠিক ব্যয় বিশ্লেষণের মাধ্যমে নতুন ভাড়া নির্ধারণের দাবি জানানো হচ্ছে।
এ জাতীয় আরো খবর..