×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৮-০৭
  • ৮০ বার পঠিত
রাজধানী ঢাকার সিনেপ্লেক্সগুলোর সব শাখায় ইতিবাচক সাফল্য দেখাচ্ছে মেজবাউর রহমান সুমনের ‘হাওয়া’। এখনো হাউসফুল ব্যবসা করছে ছবিটি। এর মধ্যে খবর এল, যশোরের মণিহার প্রেক্ষাগৃহেও ছবিটি হাউসফুল হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে ছবিটি দেশের ঐতিহ্যবাহী এ প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউল ইসলাম জানালেন, প্রতিদিন চারটি করে শো হয়। এর মধ্যে শুক্রবার দুটি শো হাউসফুল হয়েছে। যা গেল পাঁচ বছরের মধ্যে আবারও দেখা গেল।
জিয়াউল ইসলাম জানালেন, মণিহার প্রেক্ষাগৃহে রয়েছে ১ হাজার ৪০০টি আসন। এর মধ্যে ওপরতলায় ৫৫১ আসন আর নিচে ৮৫০ আসন। প্রতিদিন স্পেশাল, ম্যাটিনি, ইভিনিং ও নাইট মিলিয়ে চারটি শো হয়। 

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বললেন, ‘সব শোতে তো আর একই রকম দর্শক হয় না। তবে শনিবার কমেছে ৫০ ভাগ। আমাদের তো আসলে অনেক বড় হাউস, সিনেপ্লেক্সগুলোতে তো দুই শ থেকে আড়াই শ কখনো তিন শ। তাই এ ধরনের ছবি দিয়ে সব আসন পূর্ণ করা সম্ভব নয়। তারপরও এমনটায় আমরা অনেক সন্তুষ্ট। মন্দার এ বাজারে প্রথম দিন আমরা দুই লাখ টাকার ওপরে টিকিট বিক্রি করেছি।’
জানা গেছে, মণিহার প্রেক্ষাগৃহে ওপরতলার আসনের টিকিট মূল্য ১০০ টাকা আর নিচে ৮০ টাকা। কথায় কথায় জিয়াউল ইসলাম জানালেন, ‘পাঁচ বছর আগে আমাদের এ হলে শাকিব খানের সিনেমা ভালো ব্যবসা দিয়েছিল। “শিকারি” ছবিটি তখন টানা দুই সপ্তাহ চলেছিল। হাউসফুল ছিল।’

‘হাওয়া’ ছবিটি দেখতে কোন ধরনের দর্শকেরা আসছেন, জানতে চাইলে জিয়াউল ইসলাম বললেন, ‘সকালের দিকে যাঁরা আসেন, বেশির ভাগ স্টুডেন্ট ও ইয়াং ছেলেমেয়ে। সন্ধ্যার দিকে একটু বয়স্ক মানুষেরা আসেন। “হাওয়া’ টাইপ ছবি মুক্তি দিলেই এ ধরনের দর্শকেরা দেখতে আসেন। “হাওয়া” টাইপ মানে “মনপুরা”, “হাওয়া”, “পরাণ”, “ঢাকা অ্যাটাক” ও “স্বপ্নজাল” টাইপের আরকি।’

মণিহার প্রেক্ষাগৃহ গেল ঈদে চালিয়েছে ‘দিন দ্য ডে’ ছবিটি। এরপর তারা মুক্তি দেয় ‘পরাণ’। ছবিটি দুই সপ্তাহ চলে। এরপর মুক্তি দিয়েছে ‘হাওয়া’। জিয়াউল ইসলাম বললেন, “‘দিন দ্য ডে” ছবির ব্যবসা খুব খারাপ গেছে। এর থেকে “পরাণ” ভালো হয়েছে। তবে কোনো শো হাউসফুল পাইনি। আর এখন যে “হাওয়া” চালাচ্ছি, এটার সাড়া সবচেয়ে ভালো। যেভাবে দর্শক আসছে, ভালোই লাগছে।’

এদিকে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া তাদের ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়েছে, ‘গতকাল যশোরের মণিহার সিনেমা হলে “হাওয়া’ সিনেমার সেল হয়েছে ৩ লাখ ২ হাজার ৪০০ টাকা, যা ২০১৭ সালে ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত “বস-২” সিনেমার পরে সর্বোচ্চ সেল। অর্থাৎ গত পাঁচ বছরে কোনো সিনেমা এক দিনে এত টাকা সেল দিতে পারে নাই।’ প্রসঙ্গটি মনে করিয়ে দিতে জিয়াউল ইসলাম জানালেন, ‘তিন লাখ টাকার টিকিট বিক্রির খবরটা সত্য নয়। আমাদের হিসাবমতে, দুই লাখ টাকার বেশি হয়েছে, এটাই আমাদের জন্য স্বস্তির। আর পাঁচ বছর আগে “বস–২” নয়, “শিকারি” ছবিটিই ছিল সবচেয়ে বেশি ব্যবসার।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat