×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৭-২৫
  • ৫১ বার পঠিত
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিল প্রশ্নে রুলের শুনানি ১১ আগস্ট।

আজ সোমবার রুলটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হলে বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির এ তারিখ দেন। আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এর আগে গত বুধবার এ মামলায় পক্ষভুক্ত হতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর আদালতে আবেদন করে। দুই মাসের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করতে আপিল বিভাগের নির্দেশনাটিও সেদিন উপস্থাপন করা হয়।

আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ম্রম আইন লঙ্ঘনের মামলাটির কার্যক্রম হাইকোর্ট স্থগিত করেছিলেন। পরে সে স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র আপিল বিভাগে গেলে সর্বোচ্চ আদালত বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চকে দুই মাসের মধ্যে রুলটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিষয়টিতে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আপিল বিভাগের সেই আদেশের অনুলিপি আদালতে দাখিল করেছি। আদালত ১১ আগস্ট রুল শুনানির তারিখ রেখেছেন।

গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে লভ্যাংশ না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪ এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। পরে মামলাটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনুস ও নুরজাহান বেগম। সে আবেদনের শুনানির পর গত বছর ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলাটি বাতিল প্রশ্নে রুল জারি করে মামলার কার্যিক্রম স্থগিত করেন।

রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের এ স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করলে গত ১৩ জুন রুলটি দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। আর রুল নিষ্পত্তি পর্যন্ত মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।  

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat