সরকার দেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য সেবা, পুষ্টি নিশ্চিত করতে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২২ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএম ইউনিট কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, প্রতি বছর এখন ২০ লাখের মতো কর্মজীবী হবার উপযুক্ত মানুষ আমাদের সমাজে প্রবেশ করছে। এই বিরাট সংখ্যক নতুন কর্মহীন মানুষের জন্য কর্মসংস্থান নিয়ে সরকারকে ভাবতে হচ্ছে।
একই সাথে দেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য সেবা, পুষ্টির নিশ্চয়তা নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।
১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্য দিবস। কিন্তু সেদিন পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি থাকায় আজ বৃহস্পতিবার ২১ জুলাই ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২২’ পালন করা হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘৮০০ কোটির পৃথিবী: সকলের সুযোগ, পছন্দ ও অধিকার নিশ্চিত করে প্রাণবন্ত ভবিষ্যৎ গড়ি’।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, বিশ্বে এখন ৭৯৬ কোটি মানুষ। আগামী নভেম্বরেই বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি হবে। বিশ্বে জনসংখ্যার ধারণ ক্ষমতা এক হাজার থেকে ১২০০ কোটি। সুতরাং জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে বিশ্ববাসীকে এখনই ভাবতে হবে। বাংলাদেশে এখন ১৬ কোটি ৫০ লাখের মতো জনসংখ্যা আছে। ১৯৭৪ সালের ১ম আদম শুমারির সময় ৭ কোটি ১৫ লাখ মানুষ ছিল। গত ৫০ বছরের কম সময়ে দেশের জনসংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, করোনায় গোটা বিশ্বের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় বিশ্বে ৫ম হয়েছে ঠিকই কিন্তু, বিশ্বের অন্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব এখন বাংলাদেশেও পড়তে শুরু করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে গোটা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও তেল, গ্যাস ও বিদ্যুৎসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনার প্রভাবে অনেক দেশেই এখন জনশক্তি নিতে আগ্রহী নয়। এসব কারণে আমাদের বর্তমান সরকারকে জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি দেশের মানুষকে কর্মমুখি করার উদ্যোগ হাতে নিতে হচ্ছে। আমাদের সম্পদ সীমিত। এই সীমিত সম্পদ দিয়েই দেশের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে, শিক্ষা সুবিধাসহ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ পরিবার পরিকল্পনা কর্মী, শ্রেষ্ঠ সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২২ পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার ও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু এনডিসি। এ ছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এবং ইউএনএফপিএ, বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্রিস্টিন ব্লকুস।
এ জাতীয় আরো খবর..