×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৭-২১
  • ৭৬ বার পঠিত
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার পদে নিয়োগে নথি জালিয়াতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি মো. তারিকুল ইসলাম মুমিনসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আমলে গ্রহণ করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এ অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে আদালত এ মামলায় পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মো. শাহজাহান, মো. ফরহাদ হোসেন ওরফে মোরশেদ আলম, ফাতেমা খাতুন, মো. নাজিম উদ্দিন, মো. রুবেল, এম আবদুস সামাদ আজাদ ও রবিউল আউয়াল। এদের মধ্যে আসামি আজাদ ও রবিউল পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।  

অভিযোগপত্রে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার পদে নিয়োগের জন্য ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো সারসংক্ষেপের প্যাকেট খুলে টেম্পারিং করা হয়। আসামিরা একে অপরের সঙ্গে যোগসাজশ করে সারসংক্ষেপের ১ নম্বর ক্রমিকে বর্ণিত ব্যক্তির নামের পাশে প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত টিক চিহ্নটি টেম্পারিং করেন। তাঁর নামের পাশে ক্রস চিহ্ন বসিয়ে দেন আসামিরা। তাঁরা ২ নম্বর ক্রমিকে বর্ণিত ব্যক্তির নামের পাশেও ক্রস চিহ্ন বসিয়ে দেন। তাঁরা সারসংক্ষেপের ৩ নম্বর ক্রমিকে বর্ণিত ব্যক্তির নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। এভাবে তাঁরা অতি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় নথি জালিয়াতি করার অপরাধ করেছেন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার পদে নিয়োগের জন্য কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাছে তিনজনের নাম পাঠায়। এর মধ্যে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা না থাকায় এই পদের প্রার্থী আবদুস সামাদ আজাদকে অযোগ্য বলে ঘোষণা করে ইউজিসি। কিন্তু সেই সামাদ আজাদকেই নর্থ সাউথে ট্রেজারার পদে নিয়োগ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে এই নিয়োগ আদেশ বাতিল করে মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে দুদক অভিযোগ পেয়ে অনুসন্ধান করে। অনুসন্ধানে এই নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯/১১৪/১৬১/১৬৫ ক ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat