রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানা। প্রতিবারের মতো এবারও দর্শনার্থীরা এই বিনোদনকেন্দ্রে ভিড় জমিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ছিল ঈদুল আজহার তৃতীয় দিন। এরই মধ্যে খুলেছে অনেক অফিস-আদালত।
তবু এদিন জাতীয় চিড়িয়াখানায় আগের দুই দিনের চেয়ে দর্শনার্থী ছিল বেশি। গতকাল এখানে প্রায় ৮৫ হাজার দর্শনার্থীর পদচারণা ছিল।
চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও বয়সের মানুষের ঢল নেমেছে সেখানে। তবে দর্শনার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল শিশু। বন্ধুবান্ধব মিলেও অনেকে এসেছে।
ভিড় ছিল সেখানকার ফুটপাত দখল করে বসা অস্থায়ী খাবারের দোকানগুলোতেও। অতিরিক্ত দামে বিক্রি করার কারণে ক্রেতাদের অভিযোগও ছিল। এদিকে শিশুদের বিনোদনের কথা চিন্তা করে গোটা পরিবার চিড়িয়াখানায় এলেও দুপুরের তীব্র রোদে অস্বস্তির কথা জানিয়েছেন কিছু অভিভাবক। বাঘ, বানর, ইমু পাখি, সিংহ, জিরাফের খাঁচার পাশে শিশুদের বেশি দেখা গেছে।
রামপুরা থেকে পরিবার নিয়ে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী শামীম আহমেদ বলেন, ‘ঈদে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার মতো ছুটি পাইনি। তাই ঈদ উদযাপনের অংশ হিসেবে স্ত্রী ও দুই বাচ্চা নিয়ে ঘুরতে এসেছি। এখানে প্রচুর ভিড়। বাচ্চারা ভিড়ের মধ্যে গরম সহ্য করে প্রাণী দেখছে। তবে দোকানগুলো খাবারের বাড়তি দাম নিচ্ছে। ’
চিড়িয়াখানার দায়িত্বরত কয়েকজন কর্মচারীর সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা জানান, অন্যবারের তুলনায় এবার দর্শনার্থীর সংখ্যা কম। প্রথম দিন থেকে তৃতীয় দিন পর্যন্ত কোরবানি ও গরমের কারণে দর্শনার্থীর সংখ্যা কম হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য সময় বিশেষ করে রোজার ঈদে লাখের কাছাকাছি দর্শনার্থী হয়।
জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক মুজিবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আজ (গতকাল মঙ্গলবার) দর্শনার্থী বেড়েছে। এদিন প্রায় ৮৫ হাজার দর্শনার্থী এসেছে। এর আগের দিন সোমবার এসেছিল প্রায় ৬০ হাজার দর্শনার্থী। তবে ঈদের দিন ১২ থেকে ১৫ হাজার দর্শনার্থী এসেছে। কারণ কোরবানির ঈদের দিন বেশির ভাগ মানুষ ঘুরতে বের হতে পারে না। সবার ব্যস্ততা থাকে পশু জবাই, মাংস কাটাকাটি ও বিলি-বণ্টন নিয়ে। তাই গত দুই দিন ঈদের দিনের চেয়ে বেশি দর্শনার্থী হয়েছে। ’
তিনি জানান, আজ বুধবার গতকালের চেয়ে কিছু দর্শনার্থী কমবে বলে মনে হচ্ছে। তবে আগামী শুক্রবার আবার বাড়তে পারে।
এ জাতীয় আরো খবর..