ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় হাটে ওঠা পশু মোটাতাজাকরণের উদ্দেশ্যে কোনো ওষুধ প্রয়োগ হয়েছে কিনা জানতে অভিযান পরিচালনা করছে র্যাব। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গাবতলী পশুর হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ হাটে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান বাহিনীর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, কোরবানির ঈদের আমেজ শুরু হয় গরু-ছাগলের বিশাল হাট স্থাপনের মাধ্যমে।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় হাট গাবতলীতে। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খামারি বা গেরস্তরা নিজ বাড়ির লালিত পশু নিয়ে এ হাটে আসেন। অনেক সময় বেশি অর্থ আয়ের লক্ষ্যে কম বয়সী বা স্বাস্থ্যের গরুর শরীরে মোটাতাজাকরণের ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। এবার এমন কোনো ঘটনা ঘটুক, চায় না আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, কাল-পরশু, দুদিন বাদে ঈদুল আযহা। পবিত্র এ উৎসবের আমেজ সারা দেশেই। পশু কোরবানি করে মুসলমানরা নিজেদের ত্যাগ-তিতিক্ষা জানাবেন সৃষ্টিকর্তার কাছে। কিন্তু ধর্মীয় নির্দেশনা না মেনে বিভিন্ন অসাধু ব্যবসায়ী হাটে আনা গরুর শরীরে মোটাতাজাকরণ বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করেন। তাই আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট পশু ডাক্তারসহ অভিযান পরিচালনা করছেন। তারা দেখছেন কেউ মোটাতাজাকরণ ওষুধ প্রয়োগ করেছে কিনা।
ঈদ যাত্রা সম্পর্কে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ঈদকেন্দ্রিক নিরাপত্তায় সার্বিক প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন, সড়কে চাঁদাবাজিসহ ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তায় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাহিনীর সব ইউনিটও সর্বাত্মকভাবে প্রস্তুত আছে। এ নিরাপত্তা কার্যক্রম কয়েকদিন আগে থেকেই শুরু করেছে র্যাব। পশুর হাট কেন্দ্রিক ও মানুষের বাড়ি ফেরা নির্বিঘ্ন করতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
গাবতলী পশুর হাটে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি বলেন, আমরা সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করছি। করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ প্রতিরোধে আমরা সবার মধ্যে মাস্ক বিতরণ করছি। র্যাবের সকল ইউনিট স্বর্বাত্মকভাবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত আছে বলেও উল্লেখ করেন খন্দকার আল মঈন।
এ জাতীয় আরো খবর..