×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৭-০৭
  • ৮৭ বার পঠিত
লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান সৌদি আরবের মক্কায় পবিত্র মসজিদুল হারাম (কাবা শরিফ) তাওয়াফের মাধ্যমে হজব্রত পালনের কার্যক্রম শুরু করেছেন। সেখান থেকে হজযাত্রীরা গেছেন মিনায়। আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা মিনায় অবস্থায় করবেন। হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা আগামীকাল শুক্রবার আরাফাতের ময়দানে।

সেলাইবিহীন দুই টুকরা সাদা কাপড় পরে হজের নিয়ত করে কাবা শরিফ থেকে হজযাত্রীদের কেউ হেঁটে, কেউ বা গাড়িতে করে মিনার উদ্দেশে রওনা দেন। এ সময় তাঁদের কণ্ঠে ছিল ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক। ’

কাবা শরিফ থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে মিনা। এখন মিনা যেন তাঁবুর শহর। যেদিকে চোখ যায়, শুধু তাঁবু আর তাঁবু। হজযাত্রীরা নিজ নিজ তাঁবুতে নামাজ আদায়সহ অন্যান্য ইবাদত করছেন। মিনায় অবস্থান করা পবিত্র হজের অংশ। হজযাত্রীরা আগামীকাল শুক্রবার ফজরের নামাজ আদায় করে মিনা থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে যাবেন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন। এর পর সেখান থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় গিয়ে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন।

আগামী শনিবার ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন। হাজিরা বড় শয়তানকে পাথর মারবেন, কোরবানি দেবেন, মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন। তাওয়াফ, সাঈ শেষে আবার মিনায় ফিরে ১১ ও ১২ জিলহজ (সৌদি আরবের তারিখ অনুযায়ী) পর্যন্ত অবস্থান করবেন। সেখানে প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন তাঁরা। প্রত্যেক শয়তানকে সাতটি করে পাথর মারতে হয়—প্রথমে জামারায় সগির বা ছোট শয়তান, তারপর জামারায় ওস্তা বা মেজো শয়তান, এরপর জামারায় আকাবা বা বড় শয়তানকে। হাজিরা যাতে নির্বিঘ্নে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করতে পারেন, সে জন্য ওই জায়গা সম্প্রসারণ করা হয়।

এবার ১০ লাখ মুসল্লি হজ পালনের জন্য মক্কায় সমবেত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আট লাখ ৫০ হাজার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন। অন্যরা সৌদি আরবের নাগরিক। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর সীমিতসংখ্যক মানুষ হজ পালনের সুযোগ পেয়েছিলেন।

গতকাল বুধবার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট শেষ হয়েছে। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩২ দিনে ১৬৫ ফ্লাইটে সৌদি পৌঁছেছেন ৬০ হাজার ১৪৬ জন হজযাত্রী। এর মধ্যে ১৩ জন হজযাত্রী মারা গেছেন।

হজ বুলেটিন অনুযায়ী, হজযাত্রীদের মধ্যে গত সোমবার নওগাঁর মো. আব্দুল মোত্তালিব মক্কায় মারা গেছেন। তাঁর পাসপোর্ট নম্বর ইঞ ০৬৮৬৭১০। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৯ জন পুরুষ, চারজন নারীসহ মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মক্কায় ১১ জন ও মদিনায় দুজন হজযাত্রী মারা গেছেন।

হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ১৪ জুলাই। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ৪ আগস্ট।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat