এজবাস্টন টেস্টে আজ চতুর্থ দিনে দ্বিতীয় সেশনে ভারতের অধিনায়ক যশপ্রীত বুমরাকে বেন স্টোকস আউট করার পরই জয়ের লক্ষ্যটা পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৫ রানে অলআউট হওয়ায় জয়ের জন্য ৩৭৮ রানের লক্ষ্য পায় স্টোকসের দল।
টেস্টে এর আগে কখনো ৩৫৯ রানের বেশি তাড়া করে জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। অর্থাৎ এজবাস্টনে জিততে হলে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের নজির গড়তে হবে স্টোকসের দলকে। সম্ভব?
কেন নয়? এই টেস্টে মাঠে নামার আগে ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে ইংল্যান্ড টানা তিন টেস্ট জিতেছে চতুর্থ ইনিংসে ২৫০ রানের বেশি তাড়া করে। সেটিও টেস্টে ব্যাটিংয়ের ধারা পাল্টে—কখনো ওয়ানডে, কখনো টি–টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট করেছেন স্টোকস–বেয়ারস্টোরা।
আজও ঠিক তা–ই দেখা গেল বেয়ারস্টোর ব্যাটে। ৩ উইকেটে ২৫৯ রান তুলে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছে ইংল্যান্ড। কাল টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে জয়ের জন্য দরকার ১১৯ রান। ১ ছক্কা ও ৮ চারে ৮৭ বলে ৭২ রানে অপরাজিত বেয়ারস্টো। অন্য প্রান্তে ৯ চারে ১১২ বলে ৭৬ রানে অপরাজিত জো রুট।
চা–বিরতির এক ওভার আগে ওপেনার জ্যাক ক্রলিকে (৪৬) হারায় ইংল্যান্ড। বুমরা তাঁকে আউট করার আগে রান তাড়ার ভিতটা পেয়ে যায় স্বাগতিকেরা। ওভারপ্রতি সাড়ে চারের বেশি রানরেটে ওপেনিং জুটিতে উঠেছে ১০৭ রান। শেষ সেশনের শুরুতে বিপদে পড়ে স্টোকসের দল।
তৃতীয় সেশনের প্রথম বলে ওলি পোপকে (০) তুলে নেন বুমরা। পরের ওভারের প্রথম বলে রানআউট হন অ্যালেক্স লিস (৫৬)। ২ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া ইংল্যান্ডকে টেনে তুলেছেন বেয়ারস্টো–রুট জুটি। চতুর্থ উইকেটে ১৯৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ১৫০ রানের জুটি গড়ে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেন দুজন। এই জুটিতে বেয়ারস্টোর অবদান ৮৭ বলে ৭২, রুটের ১১০ বলে ৭৫।
বেয়ারস্টো শুরুতে উইকেটে থিতু হয়েছেন। একপর্যায়ে তাঁর সংগ্রহ ছিল ৩৪ বলে ১৮। রুট ৭১ বলে অর্ধশতক তুলে নেওয়ার পর ধীরে ধীরে পরিকল্পনামাফিক হাত খুলেছেন বেয়ারস্টো। বাজে বল ছাড়েননি।
৭৬ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। অন্য প্রান্তে হাল ধরেন রুট। স্লিপে একবার ‘জীবন’ও পেয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক। ভারতের হয়ে ২ উইকেট বুমরার।
এ জাতীয় আরো খবর..