ফরিদপুরের ভাঙ্গা-মাওয়া-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায়ে ধীরগতির কারণে দীর্ঘ ৪ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। টোলপ্লাজায় কাউন্টারের সংখ্যা কম থাকায় দুর্ভোগে পড়েন সড়কে থাকা যাত্রী ও চালকরা। সেখানে আটকা পড়েছে শত শত গাড়ি।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় শুরু হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে ভাঙ্গার বগাইল টোল প্লাজার ১০টি টোল বুথের মধ্যে ৪টি বুথে টোল আদায় করা হচ্ছে। বাকি ৬টির মধ্যে ৩টিকে সক্রিয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ঢাকা থেকে ভাঙ্গাগামী ৫৫ কিলোমিটার এ এক্সপ্রেসওয়ের নাম দেওয়া হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে। পদ্মা সেতু পার হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা এলাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার এ মহাসড়ক ব্যবহার করলে একটি বড় বাসকে দিতে হবে ২০০ টাকা, মিনিবাস ১১০ টাকা, মাইক্রোবাস ৯০ টাকা, প্রাইভেট কার ৫৫ টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা।
টোল প্লাজার ইনচার্জ ফারুক হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা ফ্লাইওভারমুখী পয়েন্টে তিনটি কাউন্টার ও বিপরীত দিকে পদ্মা সেতু অভিমুখী সড়কের একটি কাউন্টার দিয়ে টোল আদায় শুরু হয়। পদ্মা সেতু হয়ে বের হবার জন্য তিনটি ও সেতুতে ওঠার জন্য একটি কাউন্টার চালু করা হয়। এতে সেখানে প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়।
টোল প্লাজার ডেপুটি ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, এখানে ১০টি বুথের মধ্যে চারটি সচল রয়েছে। এ ছাড়া শুক্রবার হওয়ায় ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেশি। অল্পসংখ্যক টোল বুথ দিয়ে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত বাকি ছয়টি চালু করার।
এ জাতীয় আরো খবর..