ছিলেন বার্সেলোনার কোচ। তাঁর ছাঁটাই হওয়ার পর কত কিছুই তো হয়ে গেল। ক্লাবে জায়গা হারালেন লুইস সুয়ারেজ, মেসিও বার্সেলোনা ছাড়লেন। চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নিয়ে ইউরোপা লিগে খেলে আবারও চ্যাম্পিয়নস লিগে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করল বার্সেলোনা। কিকে সেতিয়েন, রোনাল্ড কোমান ঘুরে দলটার দায়িত্ব এখন জাভি হার্নান্দেজের হাতে।
আরনেস্তো ভালভার্দে এসব কিছুই দেখেছেন নিজের বাসায় বসে বসে। সেই আড়াই বছর আগে যে চাকরিহারা হয়েছিলেন, মাঝের সময়টায় আর অন্য কোনো দলের দায়িত্ব নিতে দেখা যায়নি তাঁকে।
ছবি তুলেছেন, ছবির প্রদর্শনী করেছেন। মাঝে টটেনহাম, ভ্যালেন্সিয়ার মতো কিছু দল তাঁকে দায়িত্ব দিতে চাইলেও ব্যাটে-বলে ঠিক মেলেনি। অবশেষে প্রিয় কাজে ফিরেছেন, আর সেটাও হচ্ছে নিজের পছন্দের ক্লাবের দায়িত্ব নেওয়ার মাধ্যমেই। না, বার্সেলোনায় ফিরছেন না ভালভার্দে। ফিরছেন নিজের আরেক সাবেক ক্লাব অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের কোচ হয়ে। যে দলের হয়ে পাওয়া সাফল্যের কারণে নজরে পড়েছিলেন বার্সেলোনার।
এই নিয়ে তৃতীয় দফায় দলটার ম্যানেজার হলেন ভালভার্দে। কিছুদিন আগেই বিলবাওয়ের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জন উরিয়ার্তে। ভদ্রলোক নির্বাচনী ইশতেহারেই ঘোষণা করেছিলেন, সভাপতি হলে ভালভার্দেকে দলের ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
সে কথাটা রেখেছেন উরিয়ার্তে। সভাপতি নির্বাচনের আরেক প্রার্থী ইনাকি আরেকাবেলাতা অবশ্য চেয়েছিলেন নির্বাচিত হলে বিলবাওর আরেক সাবেক ম্যানেজার মার্সেলো বিয়েলসার দিকে হাত বাড়াবেন।
কিন্তু সেটা হয়নি শেষমেশ, কপাল খুলেছে উরিয়ার্তে-ভালভার্দে জুটিরই। ৪৬.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন উরিয়ার্তে, আরেকাবেলাতা পেয়েছেন ৩৩.৭ শতাংশ ভোট। আরেক প্রার্থী রিকার্দো বার্কালার পছন্দের প্রার্থী ছিলেন পিএসজির ম্যানেজার মরিসিও পচেত্তিনো। ১৮.১ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচনে সবচেয়ে খারাপ করেছেন এই বার্কালাই।
খেলোয়াড়ি জীবনেও বিলবাওয়ের খেলোয়াড় ছিলেন ভালভার্দে। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ১৮৮ ম্যাচ খেলে ৫০ গোল করেছিলেন এই ফরোয়ার্ড। বিলবাওয়ের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ম্যাচে কোচিং করানো ব্যক্তিও ভালভার্দে। বিলবাওকে দুই দফায় সব মিলিয়ে ৩০৬ ম্যাচে কোচিং করিয়েছেন এই ৫৮ বছর বয়সী।
এ জাতীয় আরো খবর..