১১ বছর আগে লক্ষ্মীপুরের রামগতির আবদুল অদুদ বিদেশে যান। যাওয়ার আগে নিজের গরু-মহিষ লালন-পালনের দায়িত্ব দিয়ে যান শ্বশুর নূর মোহাম্মদকে। দেশে ফিরে শ্বশুরের কাছে গরু-মহিষ ফেরত চাইলে সেগুলো দিতে অস্বীকৃতি জানান শ্বশুর নূর মোহাম্মদ।
এ নিয়ে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা হাকিম আদালতে শ্বশুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন অদুদ।
তদন্তের পর গরু-মহিষগুলো জামাইকে বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু জেরা হাকিম আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে শশুর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন। আদালত স্থানীয় এক কলেজ অধ্যক্ষের মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে অতিরিক্ত জেলা হাকিমের নির্দেশই বহাল বহাল রাখেন দায়রা জজ আদালত। এরপর এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন নূর মোহাম্মদ।
মামলার বিষয়বস্তু শোনার পর বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ সালিসের মাধ্যমে এই বিরোধ নিষ্পত্তির নির্দেশ উভয় পক্ষকে। দায়িত্ব দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসকে।
বৃহস্পতিবার চার ঘণ্টা সালিসের পর জামাই-শ্বশুরের বিরোধ নিষ্পত্তি করে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস। সালিসে সিদ্ধান্ত হয়, ১৭টি মহিষের মধ্যে ৫টি বড় ও ৪টি ছোট মহিষ পাবেন অদুদ। আর ৬টি বড় ও ২টি ছোট মহিষ দেওয়া হবে শ্বশুর নূর মোহাম্মদকে। বিরোধ নিষ্পত্তির পর তা হাইকোর্টকে জানানো হয় বলে জানান সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের সমন্বয়কারী রিপন পৌল স্কু।
কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, 'গরু নিয়ে আগেই মিমাংসা হয়ে যাওয়ায় আজ মহিষের দাবি নিয়ে সালিস হয়। অদুদকে পাঁচটি গরু দেওয়া হয়েছে তারা জানিয়েছে। '
স্ত্রী-সন্তার রেখে ২০০৮ সালে সৌদি আরবে যান অদুদ। যাওয়ার আগে অদুদ ৮টি মহিষ ও ৫টি গরু লালন-পালন ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে সেগুলো নূর মোহাম্মদকে দিয়ে যান। দেশে ফেরার আগ পর্যন্ত বাছুরসহ গরু বেড়ে ৭টি হয়। আর মহিষ বেড়ে হয় ২০টি। ১১ বছর পর ২০১৯ সালে দেশে ফেরেন অুদুদ।
এ জাতীয় আরো খবর..