×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৬-২০
  • ৬০ বার পঠিত
ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদায় করা জরিমানার টাকা জমা না করে আত্মসাতের মামলায় শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের বরখাস্ত অফিস সহকারী ও মুদ্রাক্ষরিক মো. ইমাম উদ্দিনের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। তবে তার স্ত্রী কমলা আক্তারকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের পাঁচটি ধারায় ইমাম উদ্দিনকে মোট ২৮ বছর এবং তার স্ত্রী কমলা আক্তারকে ৮ বছরে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ফরিদপুরের বিচারিক আদালত। সে সাজার বিরুদ্ধে ইমাম উদ্দিনের আপিল খারিজ ও কমলা আক্তারের আপিল গ্রহণ করে সোমবার রায় দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আাদলতে আপিলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তাপস কান্তি বল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুন নেসা রত্না।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মানিক পরে কালের কণ্ঠকে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আাদলতের আদায় করা জরিমানার টাকা ঠিকমত রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হচ্ছে কিনা শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে তা খতিয়ে দেখতে এবং তদারকি করতে বলেছেন হাইকোর্ট।

তাপস কান্তি বল বলেন, বিচারিক আদালত ইমাম উদ্দিনকে পাঁচটি ধারায় মোট ২৮ বছরের কারাদণ্ড দিলেও সব ধারার সাজা একসাথে চলবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল রায়ে। পাঁচটি ধারার মধ্যে একটি ধারায় সর্বোচ্চ সাজা ছিল ১০ বছরের কারাদণ্ড। আপিল খারিজ হওয়ায় ইমাম উদ্দিনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী ও মুদ্রাক্ষরিক মো. ইমাম ২০১০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের ২৬ মে পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ সময় তার স্ত্রী কমলা আক্তারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদায় করা ৮৯ লক্ষ ৯৪ হাজার ২৪ টাকা প্রতারণা, জালজালিয়াতি করে আত্মসাত করেন।

এ বিষয়ে ২০১৫ সালের ১৮ জুন শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী হাকিম জিনিয়া জিন্নাত বাদী হয়ে পালং থানায় মামলা করেন। ভুয়া জমা দেখিয়ে টাকা আত্মসাত করার মাধ্যমে সরকারের আর্থিক ক্ষতি, অফিসের সঙ্গে প্রতারণা, জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয় মামলায়। পরে ফরিদপুরের দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাফিজুর ইসলাম মামলাটির তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে ইমাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯,৪৬৭, ৪৭৭ক, ১০৯ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় এবং কমলা আক্তারের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ১০৯ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ পত্র দেওয়া হয়।

বিচার শেষে ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরের বিশেষ জজ মতিয়ার রহমান পাঁচটি ধারায় ইমাম উদ্দিনকে মোট ২৮ বছর আর কমলা আক্তারকে ৮ বছর কারাদণ্ড দেন। সঙ্গে দুজনকে অর্থ দণ্ডও দেন বিচারিক আদালত। এ রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ ও গ্রহণ করে রায় দিলেন উচ্চ আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat