সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তাদের দুই সন্তানকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)’র দপ্তরে নিয়ে তাদের বক্তব্য নিতে পারবে না। দুই সন্তানের বক্তব্য নিতে হবে শিশু আইন মেনে মাগুরার জেলা সমাজসেবা কার্যনকালয়ে।
আজ বুধবার (৮ জুন) শিশুদের দাদা ও চাচার করা এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বক্তব্য নেওয়ার যৌক্তিক সময়ের (অন্তত দুই ঘণ্টা) আগে শিশুদের সমাজ সেবা কার্যাালয়ের অধীনে দিতে হবে।
আর বক্তব্য নেওয়ার সময় সমাজ সেবা কার্যায়লয়ের কর্মকর্তা অথবা তার মনোনীত কোনো কর্মকর্তা, একজন নারী পুলিশ ও শিশুদের দাদাকে রাখতে হবে।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।
গত ১৬ মার্চ বাবুল-মিতুর দুই সন্তানকে শিশু আইন মেনে সতর্কতার সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ। এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন (রিভিশন) করেন বাবুলের বাবা আবদুল ওয়াদুদ ও বাবুলের ভাই হাবিবুর রহমান। দুই শিশু এখন মাগুরায় তাদের হেফাজতে আছেন।
আইনজীবী শিশির মনির কালের কণ্ঠকে বলেন, “গত ১৬ মার্চ চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের আদেশের পর পিবিআই দুই শিশুকে তাদের দপ্তরে নিয়ে তাদের বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য নোটিস দেয়। অথচ কোনো মামলায় শিশুদের জবানবন্দি বা বক্তব্য নিতে হলে কিভাবে নিতে হবে, কোন প্রক্রিয়ায় নিতে তার বিশদ উল্লেখ আছে শিশু আইনে। উচ্চ আদালতের অদেশ অনুযায়ী শিশু আইনে উল্লেখিত পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া মেনেই শিশুদের বক্তব্য রেকর্ডের অনুমতি দিয়েছেন। আগামী ২৬ জুলাই তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..