এবার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বিমানের বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনার। বোর্ডিং ব্রিজের সংযোগ না খুলেই বিমানটি পুশব্যাক শুরু করায় উড়োজাহাজটির দরজা ও বোর্ডিং ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে ড্রিমলাইনারটিকে বিমানের হ্যাঙ্গারে রাখা হয়েছে বলে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিকেল ৪ নম্বর বোর্ডিং গেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ইঞ্জিনিয়ারিং শাখা থেকে ব্যাখ্যা চেয়েছে শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বোর্ডিং ব্রিজ থেকে বিমান পৃথক করার সময় যেসব নিয়ম-কানুন মানতে হয়, সেগুলো মানা হয়নি। তারা প্লেনের দরজা ও বোর্ডিং ব্রিজের সংযোগ না খুলেই পুশব্যাক করেছে। বিষয়টি শুনে আমি নিজেই ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনাটি কিভাবে এবং কেন হয়েছে তা বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার কাছে জানতে চেয়েছি। বিমান পুশব্যাক ও সিগন্যাল দেওয়ার জন্য বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং শাখা দায়িত্বপ্রাপ্ত। ’
এর আগে বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে আগে থেকেই বিমানের একটি বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাখা দুটি উড়োজাহাজের ধাক্কা লেগে দুটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই ঘটনায় বিমানের প্রিন্সিপাল প্রকৌশলীসহ পাঁচজনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
এদিকে, ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনার শিকার মর্মে প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক জনসংযোগ তাহেরা খন্দকার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান,
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এর একটি বোয়িং-৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিজি-৩৪০ অদ্য ১৬-০৬-২০২২ খ্রি. তারিখে সৌদি আরব-এর রিয়াদ থেকে উড্ডয়ন করে ১৬:১৫ টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর উড়োজাহাজটি ৪ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজে আনা হয়। উড়োজাহাজটি থেকে যাত্রী, ব্যাগেজ ও কার্গো অফ-লোডিং সম্পন্ন হওয়ার পর যথারীতি হ্যাংগারে নেওয়ার সময় বোর্ডিং ব্রিজের ক্যানোপি বিমানের দোরগোড়ার সংযোগস্থলের সংস্পর্শ হতে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় বোর্ডিং ব্রিজে থাকা ঘর্ষণ প্রতিরোধক রাবারের সাথে ঘর্ষণ লাগে।
প্রকৌশলীগণ তাৎক্ষণিকভাবে জানান যে, বোর্ডিং ব্রিজের ঘর্ষণ প্রতিরোধক রাবারটি ঠিক করা হয়েছে, বিমানের কোনো ক্ষতি হয়নি। পরবর্তীতে নির্ধারিত সিডিউল অনুযায়ী ১৭-০৬-২০২২খ্রি. তারিখ রাত ০২:৩০ ঘটিকায় রিয়াদের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার জন্য উড়োজাহাজটি যাথারীতি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত রয়েছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য প্রধান প্রকৌশলী জনাব কায়সার জামান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক, জিএসই মেইন্টেনেন্স এর সমন্বয়ে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী ০৩(তিন) কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত কার্য সম্পন্ন করে রিপোর্ট প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..