চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুনে যারা দগ্ধ হয়েছেন তাদের চিকিৎসায় প্রস্তুত রয়েছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট।
রোবরার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের গ্রান্ড বলরুমে, বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জন্স আয়োজিত এক সায়েন্টিফিক সেমিনারে অংশ নিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
ভাটিয়ারী এলাকার সেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় অসংখ্য লোক দগ্ধ হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ২০০ অধিক বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইতোমধ্যে ঢাকায় কয়েকজন রোগী ইতোমধ্যে চলে এসেছে। আমরা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রস্তুত করেছি। এখানে সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে নিউরোসার্জারি পরিস্থিতি ভালো আছে। আমাদের অবকাঠামো ও আধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে। তবে আমাদের লোকবল, বিশেষজ্ঞ ঘাটতি আছে। দেশে ২১০ জন নিউরোসার্জন আছে, আমাদের প্রয়োজন আরও অনেক বেশি। রোগীদের যেন বিদেশে যেতে না হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তাব দিয়েছি, যা বিবেচনাধীন আছে।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনার পাশাপাশি সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। করোনার মধ্যেই ১০ হাজার চিকিৎসক, ১৫ হাজার নার্স ও আটটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি নিউরোসার্জন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসা পেশাজীবীদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
এ জাতীয় আরো খবর..