×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৬-০১
  • ৭৩ বার পঠিত
নির্ধারিত দরে ডলার বেচাকেনা নিয়ে চাপে পড়েছে বেশিরভাগ ব্যাংক। বিশেষ রেমিট্যান্স ও রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে অনেক ক্ষেত্রে নির্ধারিত দরে ডলার কিনতে পারছে না তারা। ফলে আমদানিতেও নির্ধারিত দরে ডলার বিক্রি করতে পারছে না অনেক ব্যাংক।

যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর তদারকির ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বসে ব্যাংকগুলো যে দর দিয়েছে, সে দামই ঘোষণা করছে। এদিকে, সরবরাহ বাড়াতে বাজারে রিজার্ভ থেকে মঙ্গলবার আরও ১২ কোটি ৩০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে চলতি অর্থবছর বিক্রির পরিমাণ দাঁড়াল ৫৯৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

 
ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন সমকালকে বলেন, বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে ডলারের দর ছাড়াও অনেক ধরনের ইস্যু আছে। এ মুহূর্তে দরের পাশাপাশি শৃঙ্খলা ফেরানো জরুরি। বাংলাদেশ ব্যাংক সবাইকে নিয়ে শৃঙ্খলা ফেরানোর যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা প্রশংসার দাবি রাখে।

বেসরকারি একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সমকালকে বলেন, রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে দর নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৯ টাকা ৭৫ পয়সা। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে রেমিট্যান্সে দর হওয়া উচিত ৯২ টাকা। এর সঙ্গে প্রণোদনার আড়াই শতাংশ যোগ করলে গ্রাহক ৯৪ টাকা ৫০ পয়সা পাবেন। এতে অপ্রাতিষ্ঠানিক চ্যানেলের সঙ্গে দরে কিছুটা সামঞ্জস্যতা আসবে। এ ছাড়া আমদানিতে ৮৯ টাকা ৯৫ পয়সার পরিবর্তে অন্তত ৯৩ টাকা এবং রপ্তানিকারকদের জন্য ৮৮ টাকা ১৫ পয়সার পরিবর্তে ৯১ টাকা দর ঠিক করা উচিত। তাহলে ব্যাংকগুলো সহজে দর কার্যকর করতে পারবে।

জানা গেছে, রপ্তানিকারকদের কেউ কেউ গতকাল নির্ধারিত দরে ডলার বিক্রি করলেও একটি অংশ ধরে রেখেছে। তারা নগদায়ন করেনি। এমন পরিস্থিতিতে এক্সপোর্টার্স রিটেনশন কোটার (ইআরকিউর) ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat