সৌদি আরবের খরচের বিবরণী পাওয়ার পর এবারের হজ প্যাকেজপ্রতি আরো ৫৯ হাজার টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সভা শেষে ব্রিফিংয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী জানান, এ জন্য তফসিলি ব্যাংকগুলো আগামী শনিবারও খোলা থাকবে। হজযাত্রীদের আগামী সোমবারের মধ্যে এই টাকা জমা দিতে হবে।
এবার হজ প্যাকেজ ১-এ আগে ফি নির্ধারিত ছিল পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। এখন তা বেড়ে হবে পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ টাকা।
অন্যদিকে প্যাকেজ ২-এ আগে ছিল চার লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা। এখন তা বেড়ে হবে পাঁচ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা। এ ছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে আগে ছিল চার লাখ ৬৩ হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে পাঁচ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা হবে।
প্যাকেজ ঘোষণার পর সৌদি সরকার অতিরিক্ত কোনো চার্জ আরোপ করলে তা প্যাকেজ মূল্য হিসেবে গণ্য হবে এবং হজযাত্রীকে পরিশোধ করতে হবে। কোনো অর্থ অব্যয়িত থাকলে তা হাজিদের ফেরত দেওয়া হবে―এসব শর্তে গত ১১ মে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল। নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) মহামারির কারণে সৌদি সরকারের হজের ঘোষণার দেরির জন্য এবং সৌদি আরব থেকে প্রকৃত খরচের বিবরণী না পাওয়ায় সম্ভাব্য ব্যয় বিবেচনা করে অন্তর্বর্তী হজ প্যাকেজ প্রস্তুত করা হয়েছিল।
সৌদি কর্তৃপক্ষ গতকাল বুধবার মিনায় অবস্থানস্থলের ভিত্তিতে চার ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করে চার ধাপের ব্যয়ের বিবরণ নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন ব্যয়ের ধাপ ‘ডি’ ও ‘সি’ প্রকাশ করেছে। ওই তথ্য অনুযায়ী মোয়াল্লেম ফি ‘সি’ অনুসারে আট হাজার ৬৪০ সৌদি রিয়াল এবং ‘ডি’ অনুসারে সাত হাজার ৪৯০ সৌদি রিয়াল ধার্য করা হয়েছে। ফলে মোয়াল্লেম ফি ‘সি’ অনুসারে বাংলাদেশ পর্বে এক লাখ পাঁচ হাজার ৫৯৭ টাকা এবং মোয়াল্লেম ফি ‘ডি’ অনুসারে ৭৪ হাজার ৫০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সচিবালয়ে কমিটির সভা শেষে জানানো হয়েছে, উন্নতমানের বাস সার্ভিস, ট্রেন ভাড়া এবং বাড়িভাড়া হতে উভয় প্যাকেজে কিছু অর্থ সাশ্রয় করা গেছে। সাশ্রয় এবং বাংলাদেশের হজযাত্রীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও হজযাত্রীদের প্রতি বর্তমান সরকারের সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখে উভয় প্যাকেজে সৌদি আরবে আবশ্যকীয় ব্যয় ৫৯ হাজার টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। টাকা গ্রহণের জন্য সরকার ২৮, ২৯ ও ৩০ মে সময় নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটি।
এ লক্ষ্যে আগামী শনিবার দেশব্যাপী তফসিলি ব্যাংকগুলো খোলা রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের সমপরিমাণ অর্থ নিজ নিজ এজেন্সির ব্যাংক হিসাবে জমা দিতে হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..