×
  • প্রকাশিত : ২০২০-০৯-০২
  • ১২৬ বার পঠিত

স্বাধীনবাংলা,নিউজ ডেস্ক:

দেশকে এগিয়ে নিতে সরকারের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি পূরণে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিষয়ভিত্তিক দায়িত্ব পালনে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধুর এভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর যৌথসভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকে যার যার বিষয়ভিত্তিক দায়িত্বটা পালন করা দরকার। দলীয় নির্বাচনী ইশতেহারে যে ঘোষণাগুলো দেওয়া হয়েছে, সরকারের যে পলিসি আছে- সেগুলো নিয়ে বসতে আলোচনা করতে হবে। প্রতিশ্রুতি কতটুক রক্ষা করা গেছে, সেই বিষয়ে আলোচনা করা দরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে সরকার কিছু দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, ২০১০ থেকে ২০২০- এই দশবছর মেয়াদী। আর নতুন প্রেক্ষিত পরিকল্পনার মেয়াদ ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে আমরা কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, সেই প্রেক্ষিত পরিকল্পনা দলের প্রত্যেক নেতার দেখা উচিত। এখানে বিষয়ভিত্তিক সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের দেখে নিতে হবে, কীভাবে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।

করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যে জীবনবাজি রেখে মানুষের কল্যাণে কাজ করায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ কৃষক লীগসহ অন্য সহযোগী সংগঠন নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এটাই হচ্ছে আমাদের কাজ। জাতির পিতা আমাদের এটাই শিখিয়েছেন। এটাই তার আদর্শ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রণোদনা দিয়েছে। একশ অর্থনেতিক অঞ্চল তৈরি করেছে। সরকার সেখানে বিনিয়োগ আনতে চায়, সেই সুযোগও তৈরি করে দিয়েছে। কাজেই সরকার অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। সেটা যাতে যথাযথভাবে কার্যকর হয় এবং সরকার সারাদেশে যে উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়েছে, সেটা যাতে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হয়- সেটা আমাদের দেখতে হবে।

বাংলাদেশকে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নপূরণের দৃঢ় সংকল্পের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সরকার ভূমিহীন মানুষকে ভূমি গৃহ করে দেবে। কোনো এলাকায় এমন কেউ থাকলে তাদের খুঁজে বের করতে হবে। যাদের ভিটা আছে ঘর করার টাকা নেই, সরকার তাদেরও সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জন্মদিন। অনুষ্ঠানে সে কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধু কন্যার কাছে সীমিত আকারে জন্মদিন পালনের অনুমতি চান। তবে জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার জন্মদিন পালনের দরকার নেই। এমনিতেই জন্মদিন পালন করেন না তিনি।

সময় প্রধানমন্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, পাবলিক লাইব্রেরি, শহীদ মিনার এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রশিক্ষণ ভবনসহ আরো বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের আধুনিয়কায়নের লক্ষ্যে তার সরকার গৃহীত পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন। একই সঙ্গে ভারতের সদ্যপ্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে বাংলাদেশের 'অকৃত্রিম বন্ধু' হিসেবে বর্ণনা করে তার আত্মার শান্তি কামনা করেন শেখ হাসিনা। যৌথসভায় দলীয় কার্যালয় প্রান্তে আরও আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat