স্বাধীনবাংলা,নিউজ ডেস্ক:
মুক্তিযুদ্ধকালীন ৪ নম্বর সেক্টর
কমান্ডার এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি
মেজর জেনারেল (অব.) চিত্ত রঞ্জন (সি আর) দত্ত বীরউত্তমের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা
জানিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।আজ মঙ্গলবার ( ১ সেপ্টম্ভর)
সকালে জাতীয়
পতাকায় মুড়ে সি আর দত্তের কফিন নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে।
ঢাকার জেলা
প্রশাসক শহীদুল ইসলামের উপস্থিতিতে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়। এরপর তাকে
ফুলেল শ্রদ্ধা জানায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এ সময় সি আর দত্তের ছেলে চিরঞ্জিত দত্ত
সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাবাকে আমরা ভিন্নভাবে দেখেছি নানা
সময়ে। এ দেশ নিয়ে তিনি সব সময় স্বপ্ন দেখতেন। কত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তিনি দেশের
জন্য লড়াই করেছেন। বাবার স্বপ্ন ছিল এক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের। তিনি সারা জীবন
সে লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন। কোনো কিছু নিয়ে তার কখনও কোনো আক্ষেপ ছিল না। দেশকে
তিনি হান্ড্রেড পারসেন্ট ভালোবাসতেন।’ সি আর দত্তের মেজ মেয়ে চয়নিকা দত্ত বলেন, ‘বাবার সবটুকু স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে
নিয়ে। সোনার বাংলার উন্নতি হবে কীভাবে তাই নিয়ে ভাবতেন তিনি।’ বড় মেয়ে মহুয়া দত্ত এবং ছোট মেয়ে কবিতা
দাসগুপ্তও বাবাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন ঢাকেশ্বরীর প্রাঙ্গণে।
সকাল সাড়ে ১০টায় সি আর দত্তের মরদেহ
নিয়ে যাওয়া হয় সবুজবাগের রাজারবাগ শ্মশানে।সি আর দত্তের জন্ম ১৯২৭ সালের ১
জানুয়ারি আসামের শিলংয়ে। তার পৈতৃক বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশি
গ্রামে।
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (অধুনালুপ্ত
বাংলাদেশ রাইফেলস)-র প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন
কর্পোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন সি আর দত্ত।
মুক্তিযুদ্ধে
বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য চিত্ত রঞ্জন দত্ত বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন। এছাড়া
ঢাকার কাঁটাবন থেকে কারওয়ান বাজার সিগন্যাল পর্যন্ত সড়কটি ‘বীরউত্তম সি আর দত্ত’ সড়ক নামে নামকরণ করা হয়।