কোটা আন্দোলনের সময় হেলিকপ্টার থেকে করা গুলিতে নিহত ১৩ শিশুর পরিবারকে কেন ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
এদিকে গুলিতে ১৩ শিশু নিহত হওয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠনের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের দ্বৈত বেঞ্চে রিটটির ওপর শুনানি হয়। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এরপর বিচারপতি রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
ওইদিন রিটে নিহত ৯ শিশুর বিষয়ে তদন্তের পাশাপাশি প্রত্যেক পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথাও বলা হয়। সেই সঙ্গে পরবর্তীতে যদি অন্য কোনো শিশু মৃত্যুর সন্ধান পাওয়া যায়, তবে তাকেও এই ক্ষতিপূরণের আওতাভুক্ত করার কথা বলা হয়।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগের তদন্ত শুরু
এর আগে, অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার গত ১ আগস্ট বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার অংশবিশেষ সংগ্রহ করে রিটটি দাখিল করেন। ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন চেয়ে দাখিল করা রিটটি ৪ আগস্ট বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়। ওই সময় তারা শুনানি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান।
এ সময় বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বলেছিলেন, রাজনৈতিক ইস্যু রাজপথে সেটেল হওয়া উচিৎ। পরে সেই বেঞ্চে শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশের সরাসরি গুলি বন্ধে রিটের শুনানি। যা সরাসরি খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট।
এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হেলিকপ্টারের গুলিতে নিহত প্রত্যেক শিশুর পরিবার ১ কোটি করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। রিটে হাইকোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাওয়া হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..