বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ন্যায্য অধিকারের দাবিতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি করে শিক্ষার্থীদের হত্যার দায়ে বাকশালী স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ তাদের দোসরদের বিচার করা হবে। বিদেশে পালিয়ে থেকে যত ষড়যন্ত্রই করুক, গণহত্যার দায় থেকে তারা রক্ষা পাবে না। এই বাংলার মাটিতে তাদের শাস্তি কার্যকর করা হবে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ১২টায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক কর্মিসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিদেশে পালিয়ে থেকে ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র যত ষড়যন্ত্রই করা হোক না কেন, তাদের সে ষড়যন্ত্র বিএনপিসহ ছাত্র-জনতা কখনোই সফল হতে দেবে না। এ জন্য সবাইকে রাজপথে থাকতে হবে। গণহত্যার দায় থেকে তারা রক্ষা পাবে না।
শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ মো. আব্দুল গফুর সরকার।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহীন আকতার শাহীনের সঞ্চালনায় কর্মিসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম ওবায়দুর রহমান, সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম জনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম ও পৌর কাউন্সিলর এরশাদ হোসেন পাপ্পু, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রামাণিক, বিএনপি নেতা প্রভাষক শওকত হায়াত শাহ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লোকমান, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান কার্জন, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহিন আকতার, সাধারণ সম্পাদক শেখ বাবলু, সিনিয়র সহসভাপতি ওসমান গণি, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক তারিক আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক রিজওয়ান আক্তার পাপ্পু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হোসাইন মোহাম্মদ আরমান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আরমান, জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব জুয়েল বাবু প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পলাতক হাসিনা ও তার ছেলে জয় বিদেশে থেকেই এখনো নানা ষড়যন্ত্র করে চলেছে। তারা পূর্বের মতোই মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত ও দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার অপপ্রচার চালিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে।
এ জন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। পরাজিত শক্তি যেন কোনোভাবেই আমাদের বিজয়কে নস্যাৎ করতে না পারে।’
তিনি বলেন, ‘বৃহৎ দল হিসেবে বিএনপির দায়িত্ব অনেক। দেশবাসীও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। তাই ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে হবে।
কারো ফাঁদে পা না দিয়ে সুসংগঠিত হয়ে সংখ্যালঘু ভাইদের পাশে দাঁড়াতে হবে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সচেষ্ট থাকতে হবে। একই সঙ্গে ১৪ ও ১৫ আগস্ট রাজপথে বিএনপির সব নেতাকর্মীকে সজাগ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িঘর নিরাপত্তা দেবেন।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফরহাদ হোসেন আজাদ, সাবেক এমপি বিলকিস ইসলাম স্বপ্না ও আলহাজ শওকত চৌধুরী, বিএনপি নেতা বজলার রহমান, জিয়াউল হক জিয়া, জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক আবিদ হোসেন লাড্ডান, প্রচার সম্পাদক আবু সরকার, কিশোরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ডালিম, কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনিসুল হক চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম এ পারভেজ লিটন, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন মেনন, জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম সরকার মিজু, সাধারণ সম্পাদক সাদেদুজ্জামান দিনার, জেলা মহিলা দলের সভাপতি, রওনক জাহান রিনু, সাধারণ সম্পাদক রূপা বেগমসহ বিএনপি ও অন্যান্য অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় শেষে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রংপুরের পীরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ আবু সাঈদের বাড়িতে যান। এদিকে মতবিনিময় শেষে সৈয়দপুর জেলা বিএনপির নেতৃত্বে শহরে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..