বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মৌখিক নির্দেশে মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউন করা হয়েছিল বলে উঠে এসেছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে। এ ঘটনা তদন্তে গঠিত তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) এসংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
এতে বলা হয়, গত ১৫ থেকে ১৬ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ও ৫ আগস্ট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রশাসনিক অনুমোদন ছাড়াই সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মৌখিক নির্দেশে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদের নির্দেশনায় সম্পন্ন করা হয়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গত ১৭ জুলাই ২৮ জুলাই এবং ৫ আগস্ট মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) নির্দেশনায় সম্পন্ন করা হয়।
ডাটা সেন্টারে আগুন লাগার সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধের কোনো সম্পর্ক ছিল না বলেও দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, ইন্টারনেট বন্ধের সঙ্গে ডাটা সেন্টারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি সম্পৃক্ত করে প্রচারণার মাধ্যমে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাতির সঙ্গে মিথ্যাচার ও প্রতারণা করেছেন।
গত জানুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনে জয় নিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসেন শেখ হাসিনা। তবে কোটা সংস্কার ঘিরে জুন মাসে শুরু হওয়া ছাত্র বিক্ষোভ জুলাইয়ের শেষ ও আগস্টের শুরুর দিকে ব্যাপক সরকারবিরোধী আন্দোলন রূপ নেয়।
তীব্র গণ-আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন সাবেক তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। তবে তাকে এখন কোথায় রাখা হয়েছে বা তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট শাটডাউনের কারণ অনুসন্ধানে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
এ জাতীয় আরো খবর..