×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৮-১৩
  • ১৮৪ বার পঠিত
ফেডারেশন অব বিসিআইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর সভাপতি জনাব মোঃ দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বিসিআইসি প্রধান কার্যালয় ও নিয়ন্ত্রণাধীন কারখানা/প্রতিষ্ঠান/প্রকল্পসমূহের বঞ্চিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি ও অন্যান্য যৌক্তিক ০৮ দফা দাবী পেশ
তারিখঃ ১৩ আগস্ট, ২০২৪ খ্রি.।

চেয়ারম্যান (গ্রেড-১)

বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি)

বিসিআইসি ভবন, ৩০-৩১, দিলকুশা বা/এ

ঢাকা-১০০০।

বিষয়ঃ বিসিআইসি'র অচলাবস্থা দ্রুত নিরসনকল্পে যৌক্তিক দাবীসমূহ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে।

১। (ক) বিসিআইসি কর্মচারী চাকুরী প্রবিধানামালা, ১৯৮৮ এর আলোকে প্রণীত জ্যেষ্ঠতার তালিকা অনুযায়ী দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবৎ পদোন্নতি হয়ে আসছে। এতে কোন কর্মকর্তা কর্তৃক পদোন্নতি সংক্রান্ত কোন অভিযোগ বা মামলা হয়নি। জুলাই ২০২২ সালের জ্যেষ্ঠতা তালিকা পুনর্বহাল করতে হবে।

[বিগত সরকারের আমলে ১৯৮৮ সাল থেকে ৩৫ বছরের চলমান পদোন্নতি সংক্রান্ত জ্যেষ্ঠতার ধারাবাহিকতাকে উপেক্ষা করে বিসিআইসি পরিচালনা পর্যদের পরিচালকসহ একটি স্বার্থন্বেষী মহল জনপ্রশাসনের জ্যেষ্ঠতা সংক্রান্ত বিধিমালা কর্মকর্তাদের উপর চাপিয়ে দেয়। এর ফলে শত শত কর্মকর্তা জ্যেষ্ঠতা তালিকায় তাদের ধারাবাহিকতা হারায়। এই সুযোগে স্বার্থন্বেষী মহল বিসিআইসি'র ১৯৩৫ (২০২২/৩১) তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্তের আলোকে কারো বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার আপিল থাকা সত্বেও তথ্য গোপন করে ঐ স্বার্থন্বেষী মহল পদোন্নতি নজিরবিহীনভাবে ছিনিয়ে নেয় (পরিশিষ্ট-খ)। তদ্‌ পরিপ্রেক্ষিতে বিসিআইসিতে শুরু হয় অধিকার আদায়ের মামলা। বিজ্ঞ আদালত প্রবিধানমালার আলোকে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করে পদোন্নতি প্রদানের রায় প্রদান করেন। আদালতের উক্ত নির্দেশনা স্বার্থন্বেষী মহল উপেক্ষা করায় আদালত অবমাননার মামলা শুরু হয়। পূর্বের ধারাবাহিকতা বহাল রাখার পক্ষে প্রধান কার্যালয়সহ সকল কারখানার সকল কর্মকর্তা মতামত প্রদান করলেও বিসিআইসি পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকসহ একটি স্বার্থন্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রের কারণে প্রায় দুই বছর যাবৎ প্রায় ১০০০ (এক হাজার) জন কর্মকর্তা পদোন্নতি হতে বঞ্চিত রয়েছে। এজন্য বিগত তিন বছরে ১৫৪ জন মেধাবী প্রকৌশলী ইতোমধ্যে বিসিআইসি'র চাকুরি হতে পদত্যাগ করে।

কর্মকর্তাদের দীর্ঘ ২ বছর যাবৎ পদোন্নতি না হওয়ায় কর্মের পরিবেশ নষ্ট হয়ে বিসিআইসি প্রধান কার্যালয় ও সংস্থাধীন কারখানাসমূহের অস্তিত্ব আজ চরম হুমকির মুখে।।(খ) পদোন্নাতি প্রদানে কোন বাধা না থাকা সত্বেও পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে না তাই আইসিটি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক জনাব মোঃ দেলোয়ার হোসেন-কে ১৪-০৮-২০২৪ তারিখের মধ্যে ভূতাপেক্ষ জ্যেষ্ঠতাসহ পদোন্নতি প্রদান করতে হবে। এ বিষয়ে টালবাহানা মেনে নেওয়া হবে না।

(গ) বিসিআইসিকে বাঁচাতে ১৯৮৮ সালের বিসিআইসি কর্মচারী চাকুরী প্রবিধানমালার আলোকে প্রায় ৩৫ (পঁয়ত্রিশ) বছরের চলমান/ধারাবাহিক জ্যেষ্ঠতা তালিকা ১৪ আগস্ট ২০২৪ তারিখ বিকাল ২:০০ ঘটিকার মধ্যে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে এক সপ্তাহের মধ্যে পদোন্নতিযোগ্য সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, ডাক্তার, সিনিয়র লাইব্রেরিয়ান, ও শিক্ষকদের পদোন্নতি চালুকরণ এবং স্ব-প্রণোদিত হয়ে ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর তারিখে প্রকাশিত চলমান জ্যেষ্ঠতা তালিকা পরিবর্তনের পেছনে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থাকরণ, বিসিআইসি'র স্বার্থ রক্ষায় যে সকল কর্মকর্তা জ্যেষ্ঠতা বিষয়ে মামলা করেছে তাদের প্রতি নিপীড়ন বন্ধ রেখে অনতিবিলম্বে যোগ্যতা অনুযায়ী যোগ্য জায়গায় পদায়ন করতে হবে।

২। গ্যাসের সংকট দেখিয়ে উৎপাদন বন্ধ রেখে বিগত সরকারের শাসনামলে একটি কুচক্রী মহল কমিশনের বিনিময়ে হাজার হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ে ইউরিয়া সার আমদানি করা হয়েছে (তালিকা পরিশিষ্ট-ক)। বিসিআইসি'র ৫টি ইউরিয়া সার কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে ২৭.১৪ লক্ষ মে.টন ইউরিয়া সার উৎপাদন নিশ্চিত করে আমদানি নির্ভর সার ব্যবস্থাপনাকে প্রত্যাহার করে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উৎপাদনমুখী করতে হবে। এতে করে সরকারের বৈদেশিক মুদ্রাসহ ভর্তুকি খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
৩। সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের (বর্তমান জনপ্রশাসনের মন্ত্রণালয়) এর উর্ধ্বতন নিয়োগ শাখার আদেশ নং-উনি-৩/১-১১/৮৮-৭২২(৪৭), তারিখ: ২৮-০৮-১৯৮৮ এবং ন-সম (উনি-৩/২(২)/৮৮-১৩, তারিখ: ০১-০৪-১৯৯০ এর নির্দেশনা মোতাবেক বিসিআইসিতে কর্মরত কর্মকর্তাগণের মধ্য হতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিচালক নিয়োগ না করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশ বলে প্রেষণে পরিচালক পদে কর্মকর্তা নিয়োগ করা হচ্ছে। বিসিআইসি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানহীন এই সকল কর্মকর্তার উদ্ভট ও অবাস্তব বিভিন্ন সিদ্ধান্তের ফলে বিসিআইসি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে। অনিতিবিলম্বে এ সকল কর্মকর্তার প্রেষণ বাতিল করে জারিকৃত আদেশ/নীতিমালা অনুসরণ করে বিসিআইসিতে কর্মরত উপজুক্ত কর্মকর্তাগণকে পরিচালক নিয়োগ। করতে হবে।

৪। বিসিআইসি পি.ও-২৭ বলে গঠিত। ১৯৮৮ সালের প্রবিধানমালা অনুযায়ী বিসিআইসিতে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ ও পদোন্নতি দেয়া হয়ে থাকে। বিসিআইসি প্রবিধানমালায় সচিব পদটি বিদ্যমান থাকলেও বর্তমানে তা নিয়ম বহির্ভূতভাবে এই পদটিকে উর্ধ্বতন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) পদের নামকরণ করা হয়েছে। তাই ঊর্ধ্বতন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) পদের

নামকরণটি বাতিল করে প্রবিধানমালা অনুযায়ী সচিব পদ নামকরণ পুন:বহাল করা। ৫। চাহিদা মাফিক গ্যাস না পাওয়ায় সরকার নির্ধারিত বিক্রয় মূল্যের চেয়ে উৎপাদন ব্যয় বেশি। ফলে কারখানাসমূহ লোকসানের দরুন ক্রমান্বয়ে রুগ্ন শিল্পে পরিণত হয়েছে। তাই এর পূর্বের ধারাবাহিকতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে উৎপাদন ব্যয় ও

সরকার নির্ধারিত বিক্রয় মূল্যের পার্থক্য সরকার হতে ট্রেড-গ্যাপ হিসেবে আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

৬। দাবী আদায়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দমন-নিপীড়ন ও হয়রানিমূলক বদলী কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে হবে।
৭। বিসিআইসিতে কর্মরত পদোন্নতি যোগ্য সকল কর্মকর্তা যাদের ফিডার পদে ০৫ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার তারিখ থেকেই তাদের শতভাগ পদোন্নতি কার্যকর করতে হবে।

৮। বিসিআইসিতে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যে কোন সিদ্ধান্ত ফেডারেশন অব বিসিআইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে।

৯। বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে দাবী বাস্তবায়িত না হলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

বিসিআইসি প্রধান কার্যালয় ও নিয়ন্ত্রণাধীন কারখানা/প্রতিষ্ঠান/প্রকল্পসমূহের সর্বস্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্মতিক্রমে

জে/2028

মোঃ দেলোয়ার হোসেন

সভাপতি

ফেডারেশন অব বিসিআইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন

বিতরণ: বিসিআইসি প্রধান কার্যালয় ও নিয়ন্ত্রণাধীন কারখানা/প্রতিষ্ঠান/প্রকল্পসমূহের সর্বস্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat