চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলের ওপর বড় হামলা করতে পারে ইরান—এমনটাই দাবি যুক্তরাষ্ট্রের। তবে ইসরায়েল বলেছে, তারা সতর্ক আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ‘এই সপ্তাহেই ইরান ইসরায়েলের ওপর বড় ধরনের আক্রমণ করতে পারে। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
কারণ ওই হামলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমানো নিয়ে কথা বলেছেন।
কিরবি বলেন, ‘সব নেতাই আবার বলেছেন, ইসরায়েলের নিজেকে রক্ষা করার অধিকার আছে। আর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ুক, সেটা তারা চান না।
নেতারা বলেছেন, তারা এটাও চান না, ইরান বা তার সহযোগীরা কোনো রকম আক্রমণ করুক।’
প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ইউরোপের চার দেশের নেতাদের একটি যৌথ বিবৃতি সোমবার জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘আমরা ইরানের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, তারা যেন ইসরায়েলকে আক্রমণ না করে। এই ধরনের আক্রমণ হলে আঞ্চলিক সুরক্ষার বিভিন্ন দিকগুলো নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি।
তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক নেতা হানিয়ার মৃত্যুর পরই ইরান জানিয়েছিল, এর যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। হানিয়ার মৃত্যুর দায় ইসরায়েল স্বীকার করেনি, আবার খারিজও করেনি। তবে ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর ইসরায়েল জানিয়েছিল, হামাসের শীর্ষ নেতাদের তারা মারতে চায়।
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি বাড়ছে
এদিকে ইরান আক্রমণ করতে পারে মনে করে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উপস্থিতি অনেকটাই বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
পেন্টাগন রবিবার জানিয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানসহ মার্কিন বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস আব্রাহাম লিংকনকে দ্রুত পারস্যের খাঁড়িতে পাঠাতে বলেছেন।
এ ছাড়া জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ সোমবার ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিদের মুক্তির ওপর জোর দিয়েছেন। জার্মান সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, শোলজ ইরানের প্রেসিডেন্টকে বলেছেন, এই দুই পদক্ষেপ নেওয়া হলে তা আঞ্চলিক উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করবে।
এ জাতীয় আরো খবর..