মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে গিয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজুর সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শনিবার তিন দিনের মালদ্বীপ সফরের দ্বিতীয় দিনে ওই বৈঠকের পরে এক্সে জয়শঙ্কর লেখেন, ‘প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আমি সৌভাগ্যবান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন তাকে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতিতে নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন মুইজু ও জয়শঙ্কর।
এক্সে পোস্টে জয়শঙ্কর লিখেছেন, ‘আমাদের জনগণ ও আঞ্চলিক পরিস্থিতি উন্নত করার লক্ষ্যে ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্ক আরো গভীর করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
প্রসঙ্গত, ভারতের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ জোট ফের ক্ষমতা দখলের পর এই প্রথম মালদ্বীপ সফরে গেলেন জয়শঙ্কর। এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে মালে গিয়েছিলেন তিনি।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে মালেতে পৌঁছে রাতেই মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুসা জামিরের সঙ্গে বৈঠক করেন জয়শঙ্কর।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমাদের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতির অন্যতম ভিত্তিই হলো মালদ্বীপ। ভারতের কাছে প্রতিবেশী হলো অগ্রাধিকার, আর প্রতিবেশীদের মধ্যে মলদ্বীপ হলো আমাদের অগ্রাধিকার। দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কও খুব নিবিড়।”
গত জানুয়ারিতে মুইজু সরকারের তিন মন্ত্রীর মোদিবিরোধী মন্তব্যের পরে নয়াদিল্লি-মালে কূটনৈতিক টানাপড়েন তৈরি হয়েছিল।
চিনপন্থী হিসেবে পরিচিত মুইজু মে মাসের মধ্যে মালদ্বীপে সামরিক সহায়তায় অংশ নেওয়া ভারতীয় সেনাদের দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়ার পর কার্যত সংঘাত প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। যদিও পরবর্তী সময়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে স্থিতিশীলতা আসে। জুন মাসে মোদি সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজু। এই পরিস্থিতিতে জয়শঙ্করের তিন দিনের মালদ্বীপ সফর কৌশলগত দিক থেকে নতুন গুরুত্ব পেয়েছে। তার এই সফরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পর্যালোচনার পাশাপাশি দুই দেশের স্বার্থের দিকগুলো চিহ্নিত করা হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
সই হতে পারে বাণিজ্যসংক্রান্ত চুক্তিও।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
এ জাতীয় আরো খবর..