প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শপথ গ্রহণের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৩ উপদেষ্টাও শপথ নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বঙ্গভবনে তাদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বাকি তিন উপদেষ্টা ঢাকার বাইরে থাকায় শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
এর আগে রাত ৯টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ ১৪ জন সদস্য একে একে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন। শপথের আগে কোটা আন্দোলনের ছাত্রদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। কোরআন পাঠের পর শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের ১৬ উপদেষ্টা হলেন
১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ
২. ড. আসিফ নজরুল
৩. আদিলুর রহমান খান
৪. হাসান আরিফ
৫. তৌহিদ হোসেন
৬. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
৭. মো. নাহিদ ইসলাম
৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন
১০. সুপ্রদিপ চাকমা
১১. ফরিদা আখতার
১২. বিধান রঞ্জন রায়
১৩. আ.ফ.ম খালিদ হোসেন
১৪. নুরজাহান বেগম
১৫. শারমিন মুরশিদ
১৬. ফারুকী আযম
এদিক জানা যায়, শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বিক্ষুব্ধ জনগণ গণভবন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশ করে ভাঙচুর এবং লুটপাট করেছেন। ফলে এ দুই জায়গায় আপাতত অফিস বা বসবাস করার মতো অবস্থায় নেই। এ অবস্থায় যমুনা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এবং কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হবে।
তবে যমুনা ভবনের সামনে এখনো নিরাপত্তা বেষ্টনী বসানো হয়নি। সেনাবাহিনী, আনসারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে এক-এগারোর পট পরিবর্তনের পর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমেদ যমুনায় ছিলেন। এর আগে ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমান তাদের দায়িত্বের দিনগুলো রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যুমনাতেই ছিলেন।
এ জাতীয় আরো খবর..