শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ গ্রহণের সময় আধাঘণ্টা পিছিয়ে রাত ৯টায় নির্ধারণ করা হয়েছে। বঙ্গভবনে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে বুধবার (৭ আগস্ট) সেনাসদরে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান রাত সাড়ে ৮টায় শপথ গ্রহণের কথা জানিয়েছিলেন। তবে আজ সেই শপথ অনুষ্ঠান ৩০ মিনিট পিছিয়ে রাত ৯টায় নির্ধারণ করা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তাদের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরেছেন তিনি।
এদিকে, এরই মধ্যে ড. ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা রেখে মোট ১৭ সদস্যের উপদেষ্টাদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
অন্তর্বর্তী সরকারে আরও যারা থাকছেন
১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ
২. ড. আসিফ নজরুল
৩. আদিলুর রহমান খান
৪. হাসান আরিফ
৫. তৌহিদ হোসেন
৬. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
৭. মো. নাহিদ ইসলাম
৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন
১০. সুপ্রদিপ চাকমা
১১. ফরিদা আখতার
১২. বিধান রঞ্জন রায়
১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান
১৪. নুরজাহান বেগম
১৫. শারমিন মুরশিদ
১৬. ফারুকী আযম
এদিক জানা যায়, শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বিক্ষুব্ধ জনগণ গণভবন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশ করে ভাঙচুর এবং লুটপাট করেছেন। ফলে এ দুই জায়গায় আপাতত অফিস বা বসবাস করার মতো অবস্থায় নেই। এ অবস্থায় যমুনা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এবং কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হবে।
তবে যমুনা ভবনের সামনে এখনো নিরাপত্তা বেষ্টনী বসানো হয়নি। সেনাবাহিনী, আনসারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে এক-এগারোর পট পরিবর্তনের পর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমেদ যমুনায় ছিলেন। এর আগে ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমান তাদের দায়িত্বের দিনগুলো রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যুমনাতেই ছিলেন।
এ জাতীয় আরো খবর..