বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের লেবানন ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। কারণ মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক সংঘাতের আশঙ্কা বেড়ে চলেছে। ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘কঠোর’ প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বুধবার তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর জন্য তারা তারা ইসরায়েলকে দায়ী করেছে।
ইসরায়েল অবশ্য কোনো মন্তব্য করেনি। বৈরুতে ইসরায়েল হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ফুয়াদ শুকরকে হত্যার কয়েক ঘণ্টা পর তার হত্যাকাণ্ড ঘটে।
পশ্চিমা কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, ইরান সমর্থিত সামরিক গোষ্ঠী ও লেবাননভিত্তিক রাজনৈতিক আন্দোলন হিজবুল্লাহ এই ধরনের যেকোনো প্রতিশোধের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। পরবর্তীতে যার কারণে ইসরায়েল গুরুতর প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে এই ধরনের উদ্বেগে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সুইডেন, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডা ও জর্দান তাদের নাগরিকদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লেবানন ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বৈরুতে দেশটির একমাত্র বাণিজ্যিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট বাতিল বা স্থগিত করার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কিছু টিকিটের ভাড়াও বেড়েছে।
তবে আতঙ্কের কোনো লক্ষণ বা লোকজনের মধ্যে দেশ ছাড়ার হিড়িক দেখা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের যেকোনো টিকিট কেটে দেশটি ছাড়ার জন্য সতর্ক করেছে।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস মারাত্মক হামলা চালায়। এর এক দিন পর থেকে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের ওপর আক্রমণ শুরু করে। দুই দেশ প্রায় প্রতিদিনই সীমান্তে সংঘর্ষে জড়াচ্ছে।
এখন লেবাননে শত্রুতার বৃদ্ধি ও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। অধিকাংশ সহিংসতা সীমান্ত এলাকায় হয়েছে। উভয় পক্ষই বৃহত্তর সংঘাতে আগ্রহী নয় বলে ইঙ্গিত দিয়েছে।
বৈরুতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, যারা লেবাননে থাকতে চায়, তাদের উচিত জরুরি পরিকল্পনা তৈরি করা এবং বাড়তি সময় আশ্রয় নেওয়ার জন্য জায়গা প্রস্তুত রাখা। অন্যদিকে যুক্তরাজ্য বলেছে, তারা অতিরিক্ত সামরিক কর্মী, কনস্যুলার স্টাফ ও সীমান্ত বাহিনীর কর্মকর্তাদের যেকোনো উচ্ছেদে সহায়তার জন্য পাঠাচ্ছে। বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলাকালীন যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের লেবানন ছেড়ে যাওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি
এ জাতীয় আরো খবর..