গাজা সিটির শেখ রাদওয়ান এলাকায় একটি স্কুল কম্পাউন্ডে শনিবার ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। সেখানে অন্তত তিনটি বোমা ফেলা হয়েছে। এতে স্কুলটি আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। গাজা উপত্যকার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসসাল বলেছেন, হামামা স্কুলে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ১০ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, তারা কম্পাউন্ডের ভেতরে অবস্থিত হামাসের একটি কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারে আঘাত করেছে।
বাসাল আরো বলেন, কম্পাউন্ডটি ইসরায়েল ও হামাস যোদ্ধাদের মধ্যে চলমান যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত হওয়া ফিলিস্তিনিদের আবাসস্থল ছিল। তবে সামরিক বাহিনী বলেছে, কম্পাউন্ডটি হামাস যোদ্ধারা অস্ত্র তৈরি লুকিয়ে থাকার জন্য ব্যবহার করে।
এদিকে ভিডিওতে স্কুলটিতে হামলার শিকার ব্যক্তিদের আল-আহলি হাসপাতালে যেতে দেখা গেছে। গুরুতর আহতদের মধ্যে শিশুরাও ছিল, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে অচেতন বলে মনে হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য চিকিৎসকদের মরিয়া হয়ে চেষ্টা করতেও দেখা যায়। হাসপাতালের দৃশ্যগুলো বিশৃঙ্খল ছিল, আহতদের মধ্যে কয়েকজন মেঝেতে পড়ে ছিল।
আহত একজনের সাক্ষ্য অনুযায়ী, কোনো সতর্কতা ছাড়াই হামলা চালানো হয়েছিল।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বারবার হামাসের বিরুদ্ধে কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বা তাদের কমান্ডার ও যোদ্ধাদের আড়াল করার জন্য বেসামরিক স্থাপনাগুলোকে ব্যবহারের অভিযোগ করেছে। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটি অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে।
৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলে আক্রমণ করার পর গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়। ইসরায়েলি সরকারের পরিসংখ্যান অনুসারে, সেই হামলায় এক হাজার ১৯৭ জন নিহত হয়, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক ছিল।
সেই সঙ্গে ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়, যাদের মধ্যে ১১১ জন এখনো গাজায় রয়েছে। তবে ৩৯ জন জিম্মি নিহত হয়েছে বলে সামরিক বাহিনী জানিয়েছে। অন্যদিকে হামাস পরিচালিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযানে সাড়ে ৩৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
সূত্র : এএফপি, আলজাজিরা
এ জাতীয় আরো খবর..