ভারতের পশ্চিম বঙ্গেরমুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বিরুদ্ধে রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোসের করা মামলার শুনানি হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি কৃষ্ণ রাওয়ের এজলাসে রাজ্য়পালের মামলাটির শুনানি হয়। এ ঘটনায় পাল্টা মামলা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ডয়েছে ভেলে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, রাজ্যপালের মামলায় তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্য়োপাধ্যায়, রেয়াত হোসেন সরকার ও কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধেও মানহানির অভিযোগ করেছেন তিনি। মামলায় মূল অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হলেও বাকিদের তাতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
মামলার শুনানির সময় বিচারপতি জানিয়েছেন, মামলাকারী একটি সাংবিধানিক পদের অধিকারী। তার বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ তুলেছেন।
এমন মন্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত। এই মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ না দিলে মামলাকারীর বিরুদ্ধে মন্তব্য় করার প্রবণতা বেড়ে যাবে। শুধু তাই নয়, এই ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে যা প্রকাশিত হয়েছে, তাও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি।
ডয়েচে ভেলের তথ্য মতে, আদালতের এই বক্তব্য়ের পর মঙ্গলবার রাত থেকে একাধিক তৃণমূল নেতা টুইট করতে শুরু করেন।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, রাজ্য়পালের বিরুদ্ধে নারীনির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তার তদন্তের দাবি করা হয়েছে। এতে কোনো ভুল নেই।
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও একই অভিযোগ করে বলেছেন, রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী একজন নারী। রাজ্য়ের কোনো নারী নির্যাতিতা হলে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্য়বস্থা নিতেই হবে।
সে কাজই করেছেন তিনি।
এদিকে তৃণমূলের আইনজীবী সঞ্জয় বসু জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর যে বক্তব্য়গুলিকে মানহানিকর বলে অভিযোগ করা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি আদালত।
গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, গত কয়েকবছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য়পাল-মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্ক ভাল যাচ্ছে না। দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনে যাচ্ছে। সম্প্রতি রাজভবনের এক নারী কর্মী রাজ্যপালের ওপর শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন। সে বিষয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে একটি অভিযোগও জমা দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে মানহানির মামলা করেছেন রাজ্য়পাল।
এ জাতীয় আরো খবর..