চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন পুলিশের গুলিতে নিহত কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয় কমিটির সদস্য ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে পীরগঞ্জের বাবনপুরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে, সকালে কড়া পুলিশ পাহারায় লাশ নিয়ে যাওয়া হয় সাঈদের বাড়িতে। জেলার জাফর পাড়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতে জানাযা সম্পন্ন হয়। এ সময় বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। জানাজায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কলা অনুষদের ডিন ড. শফিক আশরাফসহ শিক্ষকরা অংশ নেন। নামাজের জামাতে ইমামতি করেন ভাতিজা আবু সিয়াম মিয়া।
এদিকে, সাঈদের মৃত্যুতে ওই এলাকায় চলছে শোকের মাতম। বাবা মা ভাই বোন এবং স্থানীয়দের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ এবং ছাত্রলীগ। এ সময় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি হন সাঈদ। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সাঈদ রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ তম ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র। সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী। ৯ ভাই বোনের মধ্যে ছোট ছিল সাইদ।
অপরদিকে, আন্দোলনে নিহত ফারুকের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে। সকালে তাকে তার শ্বশুর বাড়ির এলাকা কুমিল্লায় চান্দিনায় দাফন করা হয়েছে। এছাড়া, দুপুরের আগেই দাফন হওয়ার কথা রয়েছে কক্সবাজারের পেকুয়ার নিহত ওয়াসিম আকরামের।
এ জাতীয় আরো খবর..