ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এখন হাঙ্গেরি। কিন্তু ছয় মাসের এই প্রেসিডেন্সিকে আংশিক বয়কট করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আবর্তনভিত্তিতে এই প্রেসিডেন্সি পদ পাওয়া যায়। সম্প্রতি ছয় মাসের জন্য় পদটি পেয়েছে হাঙ্গেরি।
পদ পাওয়ার পরই লম্বা সফর করেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। তিনি প্রথমে কিয়েভে যান। সেখান থেকে মস্কোয় গিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন। সেখান থেকে চীনে গিয়ে শি চিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করে ওয়াশিংটনে ন্য়াটোর সভায় যোগ দেন।
অরবান তার এই সফরের নাম দিয়েছেন শান্তি সফর বা পিস মিশন।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের অভিযোগ, কাউন্সিলের সঙ্গে আলোচনা না করেই এই সফরসূচি তৈরি করেছিলেন অরবান এবং কাউন্সিল এই সফর সমর্থন করে না। বিশেষ করে যেভাবে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অরবান, ইউরোপীয় কাউন্সিল তা কোনোভাবেই সমর্থন করে না। সে কারণেই ব্রাসেলস সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অরবানের এই ছয় মাসের প্রেসিডেন্সি আংশিকভাবে বয়কট করা হবে।
এ ছাড়াও স্থির হয়েছে, হাঙ্গেরি যে কয়টি বৈঠকে সভাপতিত্ব করবে, সেখানে কোনো কমিশনার পাঠানো হবে না, প্রতিনিধি হিসেবে সরকারি আমলাদের পাঠানো হবে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডেয়ার লায়েন নিজে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে। তিনি ও তার সহকর্মীরা হাঙ্গেরির সভাপতিত্বে একটিও বৈঠকে থাকবেন না। শুধু আমলারা থাকবেন।
সাধারণত, যে দেশ প্রেসিডেন্সি পায়, কমিশনের ২৭ জন কমিশনার সেই দেশের রাজধানীতে গিয়ে একটি বৈঠক করেন এবং পরবর্তী কয়েক মাসের রোডম্য়াপ স্থির করা হয়।
কিন্তু হাঙ্গেরির ক্ষেত্রে সেই সফরও হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে ন্য়াটোর বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও বৈঠক করেন অরবান। ইউরোপীয় ইউনিয়নে হাঙ্গেরি একমাত্র দেশ, যার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক ভালো। যেকোনো সময় পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন অরবান। শুধু তা-ই নয়, ইউক্রেন যুদ্ধেও রাশিয়াকে অঘোষিত সাহায্য করেছে হাঙ্গেরি। বস্তুত, দেশের ভতর অরবানের ক্ষমতা নিয়েও বিস্তর প্রশ্ন আছে। যেভাবে তিনি ক্ষমতা দখল করেছেন, তা অনেকেই সমর্থন করেন না।
এ জাতীয় আরো খবর..