ইসরায়েলি বিমান হামলায় শনিবার দক্ষিণ লেবাননে পানি সংগ্রহকারী দুই বেসামরিক নিহত হয়েছেন বলে এক লেবানিজ নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, ওই হিজবুল্লাহর দুই সদস্যকে লক্ষ্য করে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রটি বলেছে, দেইর মিমাস এলাকায় ‘দুই বেসামরিক লোক রাস্তার পাশের ঝর্ণা থেকে পানি সংগ্রহ করছিলেন’। এ সময় তারা ‘ইসরায়েলি বিমান হামলায়’ নিহত হন।
এ ছাড়া হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রও নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছে, নিহতদের একজন শিয়া মুসলিম আন্দোলনের সদস্য ও এক নিহত যোদ্ধার বাবা। দ্বিতীয় ব্যক্তি হিজবুল্লাহর মিত্র আমাল আন্দোলনের সদস্য ছিলেন। নিহত দুজনই ‘বেসামরিক, যোদ্ধা নন’ বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সেনারা দক্ষিণ লেবাননের দেইর মিমাস এলাকায় দুই হিজবুল্লাহ সন্ত্রাসীকে শনাক্ত করেছিল, যারা ইসরায়েলি ভূখণ্ডের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
শনাক্তকরণের পরপরই আইএএফ (বিমানবাহিনী) সন্ত্রাসীদের ওপর হামলা চালায়।’
এ ছাড়া লেবাননের ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি বলেছে, এদিন একই এলাকায় ড্রোন হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে কাফার কিলা গ্রামের আমাল আন্দোলনের স্থানীয় কাউন্সিল সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আমাল আন্দোলন একটি বিবৃতিতে নিহতদের একজনকে তাদের সদস্য বলে দাবি করেছে।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে এক নজিরবিহীন হামলা চালায়। এর পর থেকেই গাজা উপত্যকায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। আর মিত্র হামাসের সমর্থনে লেবাননের হিজবুল্লাহ গ্রুপ প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। লেবাননে অক্টোবর থেকে আন্ত সীমান্ত সহিংসতায় পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই যোদ্ধা। তবে ৯০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক এ পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত।
অন্যদিকে ইসরায়েলি পক্ষের অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই সেনা। এ দুই পক্ষের মধ্যে সহিংসতা মূলত সীমান্ত এলাকায় সীমাবদ্ধ। তবে এতে সর্বাত্মক সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সূত্র : এএফপি
এ জাতীয় আরো খবর..