কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা এবার রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবেন। আগামীকাল বেলা এগারোটায় গণপদযাত্রা করবেন তারা। কর্মসূচি অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে এ গণপদযাত্রা শুরু হবে। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে গিয়ে সেখানে স্মারকলিপি প্রদান করবেন তারা। গণপদযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, সাত কলেজ, শেরে বাংলা কলেজসহ ঢাকার সব প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে বলে জানান তারা।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
এ সময় আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, দেশের প্রতিটি জেলার আন্দোলনকারীরা নিজ নিজ জেলায় গণপদযাত্রা করে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে যাবেন। সেখানে গিয়ে প্রশাসকের মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবেন।
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সার্জিস আলম জানান, সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সকল গ্রেডে বৈষম্য দূর করে কোটা সংস্কার করলেই আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে পারি। আমাদেরকে আর রাস্তায় থাকার প্রয়োজন হয় না।
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নামে যে মামলা করা হয়েছে তাকে ‘মিথ্যা’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তা তুলে নেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের অক্টোবরে কোটাবিরোধী আন্দোলন চরম আকার ধারণ করলে সরকার পরিপত্র জারি করে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিল করে দেয়। ওই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জুন পরিপত্রটি বাতিল করে দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
এই রায়ের পর ফুঁসে উঠেন শিক্ষার্থীরা। তারা কোটা বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। গত ১ জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে জোরালো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
সর্বশেষ গত ১০ জুলাই কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
এ জাতীয় আরো খবর..