১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ এবং জাতীয় স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি এ দেশের জনগণ মেনে নেবে না।
সিলেট মহানগরের কোর্ট পয়েন্টে মধুবন মার্কেটের সামনে থেকে লিফলেট বিতরণকালে ১২ দলীয় জোটের নেতারা এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার ১২ দলীয় মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বে এসব লিফলেট বিতরণ করা হয়।
জোট নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে করা ১০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে আজীবনের জন্য গোলামে পরিণত করবে।
নেতারা বলেন, কানেক্টিভিটির নামে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের এক অংশ থেকে আরেক অংশ পর্যন্ত রেল যোগাযোগ নামে করিডোর আমাদের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।
নেতারা বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখতে আরেকটি যুদ্ধের মাধ্যমে রক্ত দিয়ে হলেও রেলপথ করিডোরের চুক্তি প্রতিহত করা হবে।
নেতারা বলেন, আমরা আগ্রাসন মানি না, আমরা সীমান্ত হত্যা মানি না, আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করব। এই সামাজিক আন্দোলন ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রাকিব, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার আব্বাস আলী খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিলেট মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু বক্কর সরকার, সুনামগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মৌলানা রশিদ আহমেদ, ছাত্র জমিয়তের সাবেক সভাপতি আদনান আহমেদ, জমিয়ত কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের সমন্বয়কারী সৈয়দ তালহা আলম, ইসলামী ঐক্যজোটের সিলেট জেলা সভাপতি মুফতি আব্দুল করিম হাক্কানী, ইলিয়াস বিন রিয়াসাত, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলমসহ জোটের শীর্ষ নেতারা।
এ জাতীয় আরো খবর..