×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৭-০৮
  • ৫১ বার পঠিত
চার দিনের সরকারি সফরে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (৮ জুলাই) সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহন করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি চার্টার্ড ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। বেইজিং সময় সন্ধ্যা ৬টায় দেশটির ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে ফ্লাইটটির।

তাকে বিমানবন্দরে বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন-
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, তিন বাহিনী প্রধান, পুলিশের আইজিপি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
 
এর আগে রোববার (৭ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণাল‌য় আয়ো‌জিত সংবাদ স‌ম্মেল‌নে প্রধানমন্ত্রীর সফর নি‌য়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, 
চী‌নের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে ৮ থে‌কে ১১ জুলাই বেইজিং সফর কর‌বেন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা। প্রধানমন্ত্রীর সফ‌রে সড়ক, অবকাঠামো উন্নয়ন, অর্থনৈতিক খাতে সহায়তা, স্বাস্থ্য খাতসহ প্রায় ২০‌টির ম‌তো সম‌ঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা র‌য়ে‌ছে। প্রধানমন্ত্রীর সফ‌রে কিছু প্রকল্পও ঘোষণা করা হ‌বে।
  
হাছান মাহমুদ ব‌লেন, প্রধানমন্ত্রীকে বহন করা ফ্লাইটটি চীনের স্থানীয় সময় বিকেল ৬টায় বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। বিমানবন্দ‌রে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।
 
প্রধানমন্ত্রীর সফর  সূচি-
 
চীনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দিনের এক দ্বিপক্ষীয় সফরে দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ থেকে ‘কৌশলগত বিস্তৃত সহযোগিতা অংশীদারিত্বে’ উন্নীত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
 
প্রধানমন্ত্রী ৮-১১ জুলাই বেইজিংয়ে অবস্থানকালে ১০ জুলাই চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিংপিংয়ের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সাথে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক করবেন। বেইজিংয়ে থেকে শুরু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দিনের এ দ্বিপাক্ষিক সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ২০টি থেকে ২২টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
 
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, এ সফরকালে অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাতে সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল অর্থনীতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা, ৬ষ্ঠ ও ৯ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি ও দু’দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগের সমঝোতা স্মারকগুলো স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
 
তিনি বলেন, সফরকালে দুই দেশের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনেরও ঘোষণা করা হবে।
 
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৬ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। ওইসময় দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বে পৌঁছেছিল। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৯ সালের জুলাই মাসে বেইজিং সফর করেছিলেন। এর আগেও তিনি একাধিকবার চীন সফর করেছেন। দুই দেশ আগামী বছর তাদের প্রথম কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবে। বিগত ২১-২২ জুন তার শেষ ভারত সফরের ১৫ দিনের মধ্যেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন এই চীন সফর হতে যাচ্ছে।
 
শেখ হাসিনার চীন সফরের দ্বিতীয় দিনে ৯ জুলাই এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী চীনের বেইজিংয়ের সাংগ্রি-লা সার্কেলে চীনের ওয়ার্ল্ড সামিট উইং-এ বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। একই দিন বিকেলে, বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ প্রধানমন্ত্রী ও কনসাল্টেটিভ পার্টির প্রেসিডেন্ট মি. ওয়াং- এর মধ্যে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
 
প্রধানমন্ত্রী পরে তিয়েনানমেন স্কয়ারে পিপলস হিরোদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সন্ধ্যায় তিনি বেইজিংয়ে বাংলাদেশ হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আয়োজিত এক নৈশভোজে যোগ দেবেন।
 
১০ জুলাই, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও চীনের স্টেট কাউন্সিলের প্রিমিয়ার লি কিয়াং-এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় তাদের উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)সহ বেশ কিছু নথিতে স্বাক্ষর করা হবে। পরে তিনি একই স্থানে চীনের স্টেট কাউন্সিলের প্রিমিয়ার আয়োজিত মধ্যাহ্ন ভোজসভায় যোগ দিবেন। একইদিন বিকেলে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
 
চীন সফর শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে (বিজি১৭০৪) বেইজিং সময় ১১ জুলাই বেলা ১১টায় দেশের উদ্দেশে রওনা দিবেন। ফ্লাইটটি একই দিন বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat